
বিশেষ প্রতিনিধি ::
ছাতকে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মনোনীত লোকদের দ্বারা প্রকল্পের কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ নিয়ে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল্লাহ নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। অভিযোগে অবকাঠামো উন্নয়ন ও মাটি ভরাটের নামে সরকারি বরাদ্দের যাচ্ছেতাই ব্যবহার, কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ, নিয়মবহির্ভূতভাবে এক ব্যক্তিকে ডজনখানেক প্রকল্পের সভাপতি করাসহ টিআর, কাবিটা, কাবিখা, কাবিটার টাকা লুটপাটের অভিযোগ করা হয়।
যেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয়। তবে অভিযোগের বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
জানা যায়, ২০২৪ -২০২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় জেলার ছাতক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১ম ও ২য় পর্যায়ে ৭৬টি (কাবিটা নগদ টাকা) প্রকল্পে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, ২১টি (কাবিখা-গম) প্রকল্পে ১২৫.৫৬২ মেট্রিকটন গম, ৯৭টি (টিআর-টাকা) প্রকল্পে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। একই কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে ৩৭টি (কাবিটা-নগদ টাকা) প্রকল্পে ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, ৪৩ টি (টিআর-নগদ টাকা) প্রকল্পে ৭৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং ১৫ টি (কাবিখা) প্রকল্পে ৫০.২২৫ মেট্রিটন চাল ও ১৫টি (কাবিখা) প্রকল্পে আরও ৫০.২২৫ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়।
এছাড়াও গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ছাতক পৌরসভায় শিশু পার্ক উন্নয়ন, মিনি স্টেডিয়ামে সিসি ক্যামেরা, ড্রেন নির্মাণ, মাদ্রাসায় মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের নামে ১৩টি প্রকল্পে প্রায় ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২০২৪ -২০২৫ অর্থ বছরে প্রায় তিন শতাধিক প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও বেশিরভাগ প্রকল্পে নামমাত্র কাজ করে টাকা আত্মসাত করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অসাধু ব্যক্তিদের যোগসাজশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাগিয়ে নেয়া হয় অনেক প্রকল্প। বিধি অনুযায়ী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে দুইটি বেশি প্রকল্পের সভাপতি না করার বিধান থাকলেও রহস্যজনক কারণে উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য সফিজা বেগমকে ১৩টি প্রকল্পের সভাপতি করা হয়।
একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদকে ৫টি প্রকল্পের সভাপতি রাখা হয়। নিয়মবর্হিভূতভাবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমানকে ৪ টি প্রকল্পে সভাপতি করা হয়।
সরেজমিনে নোয়ারাই ইউনিয়নে সংস্কার কাজ পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, ইউনিয়নে কেবল ৮নং ওয়ার্ডে ৭টি কাজ করছেন ইউপি সদস্য সফিজা বেগম। ইউনিয়নে ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডে আরও ৬টি কাজ পেয়েছেন এই ইউপি সদস্য। প্রকল্পগুলোতে কাগজে কলমে সফিজা বেগম সভাপতি হলেও বাস্তবে কাজগুলোতে সিদ্দিক নামে এক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়ায় যায়। সিদ্দিকের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সখ্যতা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
অর্থ বছর পার হয়ে গেলেও তিনটি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়নি। কিছু কিছু প্রকল্পে অসম্পূর্ণ রয়েছে মাটি ভরাটের কাজ। নিজের অপারগতার কথা স্বীকার করে সফিজা বেগম বলেন, আমার সক্ষমতা নেই। তাই আমার সাথে সিদ্দিক সাহেব রয়েছেন। তিনি আমাকে টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করেন। কয়েকটি কাজ করতে পারিনি। এই কাজের বিলও আটকা রয়েছে বলে জানান তিনি।
একজন ইউপি সদস্যকে এতোগুলো কাজ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আমরা সারা বছরে দুইটি কাজ পাইনা অথচ সফিজা বেগম এতো কাজ পেয়েছেন। এর পেছনে রহস্য রয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি করতেই এমনটা করা হয়েছে। ছাতক পৌরসভার প্রকল্প এলাকায় বাস্তবায়িত কয়েকটি প্রকল্পের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার শিশু পার্ক উন্নয়নের নামে প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও দৃশ্যমান পাওয়া যায়নি কোনো কাজ। আনসার ক্যাম্পের সম্মুখে মাটি ভরাট ও উপজেলার কামিনী ভবনের পেছনে মাটি ভরাটে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কাজ হয়েছে নামমাত্র। পৌরসভার অন্যান্য প্রকল্পেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। পৌরসভার অভ্যন্তরে ৪টি প্রকল্পে সভাপতি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমান জানেন না কোথায় তাঁর প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। দায়সারা বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রকল্প কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রকল্পে সভাপতি রেখেছেন। তবে কোথায় কোন প্রকল্প করা হয়েছে তা কাগজ দেখে বলতে হবে। পৌরসভার বাসিন্দা ব্যবসায়ি আব্দুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু পটপরিবর্তনের সময় ছাতকে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এখানে লুটপাট করা হয়েছে। সরাসরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্পৃক্ত রয়েছেন। এ বিষয়ে আমি একটা অভিযোগও দিয়েছে। আশা করি কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করলে তা প্রমাণ হবে।
প্রকল্পের ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প কর্মকর্তা লুৎফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প না দেয়ার জন্য দুইজন ইউপি সদস্য লিখিত আবেদন করেছেন। তাই দুইয়েকজন ইউপি সদস্যকে বাড়তি প্রকল্প দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রকল্প কর্মকর্তার প্রতি দায় দিয়ে তিনি বলেন, এসকল প্রকল্পে প্রকল্প কর্মকর্তা প্রস্তুত সভাপতি হিসেবে আমি অনুমোদন করেছি। যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা বেশিরভাগই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে কাজের ব্যাপারে যে অভিযোগ রয়েছে তা সরেজমিনে তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
ছাতকে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মনোনীত লোকদের দ্বারা প্রকল্পের কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ নিয়ে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল্লাহ নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। অভিযোগে অবকাঠামো উন্নয়ন ও মাটি ভরাটের নামে সরকারি বরাদ্দের যাচ্ছেতাই ব্যবহার, কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ, নিয়মবহির্ভূতভাবে এক ব্যক্তিকে ডজনখানেক প্রকল্পের সভাপতি করাসহ টিআর, কাবিটা, কাবিখা, কাবিটার টাকা লুটপাটের অভিযোগ করা হয়।
যেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয়। তবে অভিযোগের বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
জানা যায়, ২০২৪ -২০২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় জেলার ছাতক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১ম ও ২য় পর্যায়ে ৭৬টি (কাবিটা নগদ টাকা) প্রকল্পে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, ২১টি (কাবিখা-গম) প্রকল্পে ১২৫.৫৬২ মেট্রিকটন গম, ৯৭টি (টিআর-টাকা) প্রকল্পে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। একই কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে ৩৭টি (কাবিটা-নগদ টাকা) প্রকল্পে ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, ৪৩ টি (টিআর-নগদ টাকা) প্রকল্পে ৭৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং ১৫ টি (কাবিখা) প্রকল্পে ৫০.২২৫ মেট্রিটন চাল ও ১৫টি (কাবিখা) প্রকল্পে আরও ৫০.২২৫ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়।
এছাড়াও গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ছাতক পৌরসভায় শিশু পার্ক উন্নয়ন, মিনি স্টেডিয়ামে সিসি ক্যামেরা, ড্রেন নির্মাণ, মাদ্রাসায় মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের নামে ১৩টি প্রকল্পে প্রায় ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২০২৪ -২০২৫ অর্থ বছরে প্রায় তিন শতাধিক প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও বেশিরভাগ প্রকল্পে নামমাত্র কাজ করে টাকা আত্মসাত করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অসাধু ব্যক্তিদের যোগসাজশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাগিয়ে নেয়া হয় অনেক প্রকল্প। বিধি অনুযায়ী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে দুইটি বেশি প্রকল্পের সভাপতি না করার বিধান থাকলেও রহস্যজনক কারণে উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য সফিজা বেগমকে ১৩টি প্রকল্পের সভাপতি করা হয়।
একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদকে ৫টি প্রকল্পের সভাপতি রাখা হয়। নিয়মবর্হিভূতভাবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমানকে ৪ টি প্রকল্পে সভাপতি করা হয়।
সরেজমিনে নোয়ারাই ইউনিয়নে সংস্কার কাজ পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, ইউনিয়নে কেবল ৮নং ওয়ার্ডে ৭টি কাজ করছেন ইউপি সদস্য সফিজা বেগম। ইউনিয়নে ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডে আরও ৬টি কাজ পেয়েছেন এই ইউপি সদস্য। প্রকল্পগুলোতে কাগজে কলমে সফিজা বেগম সভাপতি হলেও বাস্তবে কাজগুলোতে সিদ্দিক নামে এক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়ায় যায়। সিদ্দিকের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সখ্যতা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
অর্থ বছর পার হয়ে গেলেও তিনটি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়নি। কিছু কিছু প্রকল্পে অসম্পূর্ণ রয়েছে মাটি ভরাটের কাজ। নিজের অপারগতার কথা স্বীকার করে সফিজা বেগম বলেন, আমার সক্ষমতা নেই। তাই আমার সাথে সিদ্দিক সাহেব রয়েছেন। তিনি আমাকে টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করেন। কয়েকটি কাজ করতে পারিনি। এই কাজের বিলও আটকা রয়েছে বলে জানান তিনি।
একজন ইউপি সদস্যকে এতোগুলো কাজ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আমরা সারা বছরে দুইটি কাজ পাইনা অথচ সফিজা বেগম এতো কাজ পেয়েছেন। এর পেছনে রহস্য রয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি করতেই এমনটা করা হয়েছে। ছাতক পৌরসভার প্রকল্প এলাকায় বাস্তবায়িত কয়েকটি প্রকল্পের সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার শিশু পার্ক উন্নয়নের নামে প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও দৃশ্যমান পাওয়া যায়নি কোনো কাজ। আনসার ক্যাম্পের সম্মুখে মাটি ভরাট ও উপজেলার কামিনী ভবনের পেছনে মাটি ভরাটে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কাজ হয়েছে নামমাত্র। পৌরসভার অন্যান্য প্রকল্পেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। পৌরসভার অভ্যন্তরে ৪টি প্রকল্পে সভাপতি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহ মো. শফিউর রহমান জানেন না কোথায় তাঁর প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। দায়সারা বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রকল্প কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রকল্পে সভাপতি রেখেছেন। তবে কোথায় কোন প্রকল্প করা হয়েছে তা কাগজ দেখে বলতে হবে। পৌরসভার বাসিন্দা ব্যবসায়ি আব্দুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু পটপরিবর্তনের সময় ছাতকে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এখানে লুটপাট করা হয়েছে। সরাসরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্পৃক্ত রয়েছেন। এ বিষয়ে আমি একটা অভিযোগও দিয়েছে। আশা করি কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করলে তা প্রমাণ হবে।
প্রকল্পের ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প কর্মকর্তা লুৎফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প না দেয়ার জন্য দুইজন ইউপি সদস্য লিখিত আবেদন করেছেন। তাই দুইয়েকজন ইউপি সদস্যকে বাড়তি প্রকল্প দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রকল্প কর্মকর্তার প্রতি দায় দিয়ে তিনি বলেন, এসকল প্রকল্পে প্রকল্প কর্মকর্তা প্রস্তুত সভাপতি হিসেবে আমি অনুমোদন করেছি। যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা বেশিরভাগই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে কাজের ব্যাপারে যে অভিযোগ রয়েছে তা সরেজমিনে তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।