গৃহস্থালিতে নারীর অদৃশ্য শ্রমের মূল্য ৫ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা

আপলোড সময় : ১২-০৯-২০২৫ ১২:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১২-০৯-২০২৫ ১২:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন
নারীর অবদান জাতীয় অর্থনীতির কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা জাতীয় অর্থনীতিতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। প্রথমবারের মতো গৃহস্থালি ও যত্নমূলক কাজের আর্থিক মূল্য নিরূপণ করে দেখানো হলো, ২০২১ সালে এই অবৈতনিক কাজের মূল্য দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা - যা জিডিপির প্রায় ১৯ শতাংশ। এর মধ্যে নারীর অবদানই ৮৫ শতাংশ বা পাঁচ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাব আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, নারীরা প্রতিদিন যে অবৈতনিক শ্রম দিচ্ছেন, তা দেশের অর্থনীতির জন্য কতটা অপরিহার্য। রান্না, ঘর সামলানো, শিশু ও প্রবীণের যতœ কিংবা অসুস্থকে দেখাশোনা - এসব কাজ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অথচ এতদিন এই শ্রমকে অর্থনৈতিক মূল্যায়নে স্থান দেওয়া হয়নি। এখন প্রশ্ন হলো, এই স্বীকৃতি কেবল পরিসংখ্যানেই সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি নীতি প্রণয়ন ও বাজেটে প্রতিফলিত হবে। যতœ খাতকে জাতীয় বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া, পরিবারবান্ধব কর্মনীতি তৈরি, যত্ন কেন্দ্রিক চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় - এসব পদক্ষেপ জরুরি। বিবিএসের উদ্যোগ শুধু নারীর অবদানকে দৃশ্যমান করল না, বরং সমাজে প্রোথিত লিঙ্গবৈষম্য ভাঙার প্রক্রিয়াকেও এগিয়ে দিল। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এটি বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রণী স্থানে নিয়ে যাবে। আমরা মনে করি, নারীর এই শ্রম অর্থনীতির ছায়ায় নয়, এখন তা জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায়। এই বাস্তবতাকে কাজে লাগিয়ে একটি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সংগত ও টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলাই সময়ের দাবি।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com