
স্টাফ রিপোর্টার::
গত দুই দিন ধরে সুনামগঞ্জে চলছে ঘনঘন লোডশেডিং। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ভ্যাপসা গরমে বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চালাতে হচ্ছে জেনারেটর। এতে বাড়তি খরচ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে প্রায় ১০ মেগাওয়াট। কিন্তু এর বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় ৩ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় এই লোডশেডিং হচ্ছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলোতেও দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হঠাৎ করেই লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে রাতে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে জনসাধারণের।
শহরের ষোলঘরের বাসিন্দা শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, হঠাৎ করেই লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। এই বিদ্যুৎ আসে এই যায়! বিশেষ করে রাতে বেশি
লোডশেডিং হলে পড়াশোনা করতে অসুবিধা হয়।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ রোডে অবস্থিত নূহা কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী শাকিল আহমেদ কাওসার বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকলে আইপিএস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি, ফরম পূরণ, চাকরির আবেদন থেকে শুরু করে অনলাইনের যাবতীয় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে দোকানে আইসক্রিমের ফ্রিজ থাকায় সমস্যা আরও বেশি হচ্ছে। বিদ্যুৎ বেশি সময় না থাকলে আইসক্রিম গলে নষ্ট হয়ে যায়। একই সাথে বারবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস যন্ত্র নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
হাসননগরের বাসিন্দা সোহেল মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কোন হিসাব নাই। সারাদিনই নেয় আর দেয়। এভাবে চলতে থাকলে বাসাবাড়ির সব ইলেকট্রনিকস যন্ত্র নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তিনি বলেন, রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে বিশেষ করে শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। কি কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে তাও জানা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা আসেন। রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করতে হয়, কিন্তু বিদ্যুৎ আসে আর যায়! আমরা কি আর করবো! রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়ে জেনারেটর চালাতে হয়। কিন্তু জেনারেটর চালাতে খরচ হয় প্রচুর। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
এদিকে, হঠাৎ করে কেন বেড়েছে লোডশেডিং এই বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাসেল আহমাদ এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিক, কথা বলবেন! আপনারা অফিস টাইমে আসতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, আমি অফিশিয়াল লোক, কথা বলতে হলে অফিস টাইমেই আইসা কথা বলতে হবে।
গত দুই দিন ধরে সুনামগঞ্জে চলছে ঘনঘন লোডশেডিং। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ভ্যাপসা গরমে বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চালাতে হচ্ছে জেনারেটর। এতে বাড়তি খরচ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে প্রায় ১০ মেগাওয়াট। কিন্তু এর বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় ৩ মেগাওয়াট কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় এই লোডশেডিং হচ্ছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলোতেও দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, হঠাৎ করেই লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে রাতে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে জনসাধারণের।
শহরের ষোলঘরের বাসিন্দা শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, হঠাৎ করেই লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। এই বিদ্যুৎ আসে এই যায়! বিশেষ করে রাতে বেশি
লোডশেডিং হলে পড়াশোনা করতে অসুবিধা হয়।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ রোডে অবস্থিত নূহা কম্পিউটারের স্বত্বাধিকারী শাকিল আহমেদ কাওসার বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকলে আইপিএস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ভর্তি, ফরম পূরণ, চাকরির আবেদন থেকে শুরু করে অনলাইনের যাবতীয় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে দোকানে আইসক্রিমের ফ্রিজ থাকায় সমস্যা আরও বেশি হচ্ছে। বিদ্যুৎ বেশি সময় না থাকলে আইসক্রিম গলে নষ্ট হয়ে যায়। একই সাথে বারবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে কম্পিউটারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিকস যন্ত্র নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
হাসননগরের বাসিন্দা সোহেল মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কোন হিসাব নাই। সারাদিনই নেয় আর দেয়। এভাবে চলতে থাকলে বাসাবাড়ির সব ইলেকট্রনিকস যন্ত্র নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তিনি বলেন, রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে বিশেষ করে শিশুদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। কি কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে তাও জানা যাচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে রোগীরা আসেন। রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করতে হয়, কিন্তু বিদ্যুৎ আসে আর যায়! আমরা কি আর করবো! রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে বাধ্য হয়ে জেনারেটর চালাতে হয়। কিন্তু জেনারেটর চালাতে খরচ হয় প্রচুর। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
এদিকে, হঠাৎ করে কেন বেড়েছে লোডশেডিং এই বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাসেল আহমাদ এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিক, কথা বলবেন! আপনারা অফিস টাইমে আসতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, আমি অফিশিয়াল লোক, কথা বলতে হলে অফিস টাইমেই আইসা কথা বলতে হবে।