
স্টাফ রিপোর্টার::
নিখোঁজের তিন দিন পর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি ও জেলা ছাত্র জমিয়তের সাবেক সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর (৫২) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে দিরাই উপজেলার শরীফপুর এলাকায় পুরাতন সুরমা নদীতে ভাসমান অবস্থায় জমিয়ত নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে। এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছেন তারা। অপরদিকে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
জানাযায়, মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যান। পরে তিনি স্ত্রীকে ফোন করে বলেন, আমি সুনামগঞ্জ আসছি এক ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবো। তারপর থেকে মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাত ১১টায় তাকে দিরাই রাস্তার মোড়ে শেষবারের মতো দেখা যায়। তারপর পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি।
এ ঘটনার পর বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শান্তিগঞ্জ থানায় তার স্ত্রী রুবি বেগম সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে নিখোঁজের ঘটনা পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলে পুলিশ ও পরিবারের সদস্য এবং রাজনৈতিক দলের সহকর্মীরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে দিরাই উপজেলার শরীফপুর গ্রামের পাশে পুরাতন সুরমা নদীতে ভাসমান মরদেহ দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর মরদেহ শনাক্ত করেন।
পরে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এদিকে ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে এর রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানানো হয়েছে।
নিহতের ভাতিজা মোহাম্মদ সাইদ বলেন, আমার চাচা মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ। সকালে আমাদের কাছে খবর আসে নদীতে একটি লাশ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে এসে আমরা চাচার লাশ শনাক্ত করেছি। তিনি বলেন, আমার চাচাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। এদিকে, এমন একজন আলেমের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। তারা দ্রুততম সময়ে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
গাজীনগর গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, এটি একটি হত্যাকান্ড। এর পেছনে কারা রয়েছে পুলিশকে খোঁজে বের করতে হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা উদ্বেগ জানিয়ে আসছিলাম। আজ সেই আশঙ্কা সত্যি হয়েছে। আমাদের জমিয়তের সিনিয়র একজন নেতার এমন মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। দ্রুততম সময়ে এর রহস্য উদঘাটন করতে হবে। নতুবা আমরা সাংগঠনিকভাবে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।
এবিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। এর পেছনের কারণ উদ্ঘাটনে আমরা তৎপর রয়েছি।
নিখোঁজের তিন দিন পর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি ও জেলা ছাত্র জমিয়তের সাবেক সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর (৫২) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে দিরাই উপজেলার শরীফপুর এলাকায় পুরাতন সুরমা নদীতে ভাসমান অবস্থায় জমিয়ত নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে। এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি জানিয়েছেন তারা। অপরদিকে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
জানাযায়, মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরী মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যান। পরে তিনি স্ত্রীকে ফোন করে বলেন, আমি সুনামগঞ্জ আসছি এক ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবো। তারপর থেকে মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাত ১১টায় তাকে দিরাই রাস্তার মোড়ে শেষবারের মতো দেখা যায়। তারপর পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি।
এ ঘটনার পর বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শান্তিগঞ্জ থানায় তার স্ত্রী রুবি বেগম সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে নিখোঁজের ঘটনা পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলে পুলিশ ও পরিবারের সদস্য এবং রাজনৈতিক দলের সহকর্মীরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে দিরাই উপজেলার শরীফপুর গ্রামের পাশে পুরাতন সুরমা নদীতে ভাসমান মরদেহ দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর মরদেহ শনাক্ত করেন।
পরে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এদিকে ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে এর রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানানো হয়েছে।
নিহতের ভাতিজা মোহাম্মদ সাইদ বলেন, আমার চাচা মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ। সকালে আমাদের কাছে খবর আসে নদীতে একটি লাশ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে এসে আমরা চাচার লাশ শনাক্ত করেছি। তিনি বলেন, আমার চাচাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। এদিকে, এমন একজন আলেমের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। তারা দ্রুততম সময়ে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
গাজীনগর গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, এটি একটি হত্যাকান্ড। এর পেছনে কারা রয়েছে পুলিশকে খোঁজে বের করতে হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়বুর রহমান বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা উদ্বেগ জানিয়ে আসছিলাম। আজ সেই আশঙ্কা সত্যি হয়েছে। আমাদের জমিয়তের সিনিয়র একজন নেতার এমন মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। দ্রুততম সময়ে এর রহস্য উদঘাটন করতে হবে। নতুবা আমরা সাংগঠনিকভাবে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।
এবিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। এর পেছনের কারণ উদ্ঘাটনে আমরা তৎপর রয়েছি।