সড়ক দখলমুক্ত রাখতে চাই স্থায়ী ব্যবস্থা

আপলোড সময় : ০৬-০৯-২০২৫ ১২:৩১:০০ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৬-০৯-২০২৫ ১২:৩১:০০ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জায়গা থেকে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দুই দিনব্যাপী এ অভিযানে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে শুরু করে শান্তিগঞ্জের পাগলা বাজার পর্যন্ত যেসব দোকানপাট, বসতঘর ও স্থাপনা গড়ে উঠেছিল সেগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের দুই পাশে দখলদারিত্ব সাধারণ মানুষকে যেমন ভোগান্তিতে ফেলেছিল, তেমনি সড়কে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ও যানজটের কারণও হয়েছিল। তবে প্রশ্ন রয়ে যায়, এই উচ্ছেদ কতটা স্থায়ী হবে? অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, উচ্ছেদের এক-দুইদিন পরই আবার সরকারি জায়গা দখল করে দোকানপাট দাঁড়িয়ে যায়। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভাড়া দিয়ে বিপুল অর্থ আয়ের পথ তৈরি করে নেন। অথচ এর মাশুল গুনতে হয় পথচারী ও যাত্রীদের। সড়ক সংকুচিত হয়ে যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হয়, মানুষের সময় ও অর্থ নষ্ট হয়, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে শুধু উচ্ছেদ অভিযানই যথেষ্ট নয়। উচ্ছেদের পর ওই জায়গা যেন আর কেউ দখল করতে না পারে, সেজন্য প্রশাসনকে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। প্রয়োজনে সড়কের পাশে সবুজায়ন বা জনকল্যাণমূলক স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করা যেতে পারে, যাতে পুনর্দখলের সুযোগ না থাকে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। শুধু মাইকিং নয়, নিয়মিত জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সড়ক জনপথের সম্পদ, তা ব্যক্তিগত মুনাফার উৎস নয়। এই মহাসড়ক শুধু সুনামগঞ্জ নয়, পুরো সিলেট অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবাহের অন্যতম ধমনী। তাই এর পাশে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠলে তার ক্ষতি বহুমাত্রিক। জনগণের স্বার্থে, সড়ক নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সুশাসনের স্বার্থে উচ্ছেদ অভিযানকে নিয়মিত ও স্থায়ী রূপ দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com