
বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধি ::
হাওরপাড়ের এক মৎস্যজীবী পরিবার আজ গভীর সংকটে। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মিন্টু বর্মণ (৩৫)। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম এই ব্যক্তি বর্তমানে কর্মক্ষম নন। ফলে তিন সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে তার পরিবারের জন্য।
গত ৩১ আগস্ট বাহাদুরপুর গ্রামের বিজয় বর্মণ (২৪), অজয় বর্মণ (২৮) ও গৌতম বর্মণ (২২) সহ কয়েকজনের আক্রোশের শিকার হন মিন্টু। হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন দোয়ারেরপাড় এলাকায় তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এসময় তার হাত ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে তিনি বর্তমানে শয্যাশায়ী অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন।
মিন্টুর স্ত্রী রাণী বর্মণ চোখে পানি নিয়ে বলেন, “আমার স্বামী মাছ ধরে সংসার চালাতেন। এখন তিনি কাজ করতে পারছেন না। ঘরে খাবার নেই, সন্তানদের কীভাবে ভরণপোষণ করবো ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।”
তাদের তিন সন্তান- মুক্তা বর্মণ (১৩), ঐশি বর্মণ (১০) ও অসিত বর্মণ অভি (৭) এখন পড়াশোনা ও স্বাভাবিক জীবনের পরিবর্তে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সুষেন বর্মণ বলেন, আমরা কয়েকজন না এগিয়ে এলে মিন্টু হয়তো লাশ হয়ে ফিরত। কয়েকজন মিলে তাকে নির্মমভাবে মারধর করেছে।
অভিযুক্ত অজয় বর্মণ ও বিজয় বর্মণও হামলার ঘটনা স্বীকার করে জানিয়েছেন, রাগের বশে এ ঘটনা ঘটেছে এবং তারা আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে গ্রামের কয়েকজন প্রবীণ জানান, গরীব মৎস্যজীবী পরিবারটিকে সহায়তা করতে স্থানীয়রা প্রাথমিক চিকিৎসার খরচ বহন করেছেন। তবে দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা ও সংসার চালাতে সমাজের সহৃদয় মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।