
দুলাল মিয়া::
শিক্ষা জাতির মেরুদ- আর শিক্ষকতা মহান ব্রত। এই সত্য উচ্চারিত হলেও শিক্ষকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি কতটা ইতিবাচক, তা প্রায়শই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে নানান বৈষম্য বিদ্যমান, যার অন্যতম হলো জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের পদ্ধতি। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হয় এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে, যোগদানের তারিখ থেকে নয়। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করলেও, পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত হওয়া একজন সিনিয়র শিক্ষক জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে পিছিয়ে পড়েন।
ধরা যাক, একজন শিক্ষক ২০১০ সালে সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে নিরলসভাবে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন। কোনো জটিলতার কারণে হয়তো তাঁর পদটি এমপিওভুক্ত হয় নি। অপরদিকে আরেকজন শিক্ষক ২০১৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে একই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওই সালেই এমপিওভুক্তির আওতায় আসেন। আবার ২০১০ সালে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক জটিলতা নিরসনের পর ২০১৯ সালে এমপিওভুক্তির আওতায় আসেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ২০১০ সালে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষককে বাদ দিয়ে শুধু এমপিওভক্তির খাতিরে ২০১৫ সালে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষককে জ্যেষ্ঠ হিসেবে গণ্য করে পদোন্নতিসহ সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এটি স্পষ্টতই অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক।
দেশে প্রায় ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে নয়; এমপিওভুক্ত হওয়ার তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হয়। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগদানের একটা তারিখ থাকে, আবার এমপিও সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অর্থাৎ এমপিওভুক্তির আরেকটি তারিখ থাকে। ওই এমপিওভুক্তির তারিখ থেকেই তাঁদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হয়। অন্যান্য চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে এমনটি প্রযোজ্য নয়। অন্য যে কোনো চাকরির ক্ষেত্রে যোগদানের তারিখ থেকেই চাকরির কর্মকাল ও জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হয়। আর শুধু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে কর্মকাল গণনা ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ নীতি নিতান্তই বৈষম্যমূলক। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মকাল গণনা ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১ এর ১৩ ধারায় উল্লেখ আছে, “শিক্ষক-কর্মচারীদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা তাঁদের সংশ্লিষ্ট পদে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে গণনা করা হবে। এমপিওভুক্তি একই তারিখে হলে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের যোগদানের তারিখ বিবেচনা করা হবে।
তবে কোনো শিক্ষকের নিয়োগ নিয়মিতকরণ করা হলে নিয়মিতকরণের তারিখ যোগদানের তারিখ হিসেবে গণ্য হবে। যোগদানের তারিখ একই হলে জন্মতারিখের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ হবে। জন্ম তারিখ একই হলে একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফল বলতে এস.এস.সি./সমমান এবং তদুর্ধ্ব পাবলিক পরীক্ষাসমূহের ফলাফল বুঝাবে।” এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ “জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১ এর ১৩ ধারা” বাতিল করে সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় যোগদানের তারিখকেই প্রধান মানদ- ধরে চাকরির ক্ষেত্রে তাঁদের জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়ে আসছেন। বিজ্ঞ আইনজীবী ও সচেতনমহল বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণের প্রচলিত নীতিকে বৈষম্যমূলক মনে করেন।
বৈষম্যের এ নীতি সংবিধানের ২৭ ও ২৯নং অনুচ্ছেদের সরাসরি লঙ্ঘন বলেও তাঁরা মনে করেন। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্যে একজন শিক্ষক যেদিন থেকে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছেন, সেদিন থেকেই তাঁর অভিজ্ঞতা ও অবদানকে মূল্যায়ন করা উচিত। যোগদানের তারিখ উপেক্ষা করলে শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এবং হতাশা তৈরি হয়। বৈষম্যের তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষককে উপেক্ষা করলে কর্মপরিবেশে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকবে। সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা নিয়োগ/যোগদানের তারিখ থেকে নির্ধারণের লক্ষ্যে প্রচলিত নীতিমালাকে সংশোধন করে শিক্ষা ও শিক্ষকের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে বৈষম্যমুক্ত করা খুবই জরুরি। বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রায় ৯৭% দায়িত্ব পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তাই দেশের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষকতা পেশাকে সম্মানজনক অবস্থানে নিতে হলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি, দায়িত্ব ও অধিকার, প্রশিক্ষণ, চাকরির নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া, পেশাগত স্বাধীনতা, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, কার্যকর শিক্ষাদান ও শিখনের পরিবেশ, আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে সকল বৈষম্য নিরসনের এখনই সময়।
শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। তাঁদের প্রতি সামান্যতম অবিচারও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা অবশ্যই যোগদানের তারিখ থেকে গণনা করা উচিত। এটি শুধু শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নয়; শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্যও অপরিহার্য। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লেখক : কলেজ শিক্ষক ও কলাম লেখক।
শিক্ষা জাতির মেরুদ- আর শিক্ষকতা মহান ব্রত। এই সত্য উচ্চারিত হলেও শিক্ষকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি কতটা ইতিবাচক, তা প্রায়শই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে নানান বৈষম্য বিদ্যমান, যার অন্যতম হলো জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের পদ্ধতি। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হয় এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে, যোগদানের তারিখ থেকে নয়। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করলেও, পরবর্তীতে এমপিওভুক্ত হওয়া একজন সিনিয়র শিক্ষক জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে পিছিয়ে পড়েন।
ধরা যাক, একজন শিক্ষক ২০১০ সালে সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে নিরলসভাবে শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন। কোনো জটিলতার কারণে হয়তো তাঁর পদটি এমপিওভুক্ত হয় নি। অপরদিকে আরেকজন শিক্ষক ২০১৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে একই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন এবং ওই সালেই এমপিওভুক্তির আওতায় আসেন। আবার ২০১০ সালে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক জটিলতা নিরসনের পর ২০১৯ সালে এমপিওভুক্তির আওতায় আসেন। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ২০১০ সালে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষককে বাদ দিয়ে শুধু এমপিওভক্তির খাতিরে ২০১৫ সালে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষককে জ্যেষ্ঠ হিসেবে গণ্য করে পদোন্নতিসহ সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এটি স্পষ্টতই অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক।
দেশে প্রায় ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) রয়েছে। এসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রথম যোগদানের তারিখ থেকে নয়; এমপিওভুক্ত হওয়ার তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হয়। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগদানের একটা তারিখ থাকে, আবার এমপিও সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অর্থাৎ এমপিওভুক্তির আরেকটি তারিখ থাকে। ওই এমপিওভুক্তির তারিখ থেকেই তাঁদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হয়। অন্যান্য চাকরিজীবীর ক্ষেত্রে এমনটি প্রযোজ্য নয়। অন্য যে কোনো চাকরির ক্ষেত্রে যোগদানের তারিখ থেকেই চাকরির কর্মকাল ও জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হয়। আর শুধু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে কর্মকাল গণনা ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ নীতি নিতান্তই বৈষম্যমূলক। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মকাল গণনা ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১ এর ১৩ ধারায় উল্লেখ আছে, “শিক্ষক-কর্মচারীদের পারস্পরিক জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা তাঁদের সংশ্লিষ্ট পদে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে গণনা করা হবে। এমপিওভুক্তি একই তারিখে হলে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের যোগদানের তারিখ বিবেচনা করা হবে।
তবে কোনো শিক্ষকের নিয়োগ নিয়মিতকরণ করা হলে নিয়মিতকরণের তারিখ যোগদানের তারিখ হিসেবে গণ্য হবে। যোগদানের তারিখ একই হলে জন্মতারিখের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ হবে। জন্ম তারিখ একই হলে একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফল বলতে এস.এস.সি./সমমান এবং তদুর্ধ্ব পাবলিক পরীক্ষাসমূহের ফলাফল বুঝাবে।” এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ “জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১ এর ১৩ ধারা” বাতিল করে সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় যোগদানের তারিখকেই প্রধান মানদ- ধরে চাকরির ক্ষেত্রে তাঁদের জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়ে আসছেন। বিজ্ঞ আইনজীবী ও সচেতনমহল বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা নির্ধারণের প্রচলিত নীতিকে বৈষম্যমূলক মনে করেন।
বৈষম্যের এ নীতি সংবিধানের ২৭ ও ২৯নং অনুচ্ছেদের সরাসরি লঙ্ঘন বলেও তাঁরা মনে করেন। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্যে একজন শিক্ষক যেদিন থেকে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছেন, সেদিন থেকেই তাঁর অভিজ্ঞতা ও অবদানকে মূল্যায়ন করা উচিত। যোগদানের তারিখ উপেক্ষা করলে শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এবং হতাশা তৈরি হয়। বৈষম্যের তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষককে উপেক্ষা করলে কর্মপরিবেশে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকবে। সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা নিয়োগ/যোগদানের তারিখ থেকে নির্ধারণের লক্ষ্যে প্রচলিত নীতিমালাকে সংশোধন করে শিক্ষা ও শিক্ষকের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে বৈষম্যমুক্ত করা খুবই জরুরি। বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রায় ৯৭% দায়িত্ব পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তাই দেশের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষকতা পেশাকে সম্মানজনক অবস্থানে নিতে হলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি, দায়িত্ব ও অধিকার, প্রশিক্ষণ, চাকরির নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া, পেশাগত স্বাধীনতা, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, কার্যকর শিক্ষাদান ও শিখনের পরিবেশ, আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে সকল বৈষম্য নিরসনের এখনই সময়।
শিক্ষকরা জাতি গঠনের কারিগর। তাঁদের প্রতি সামান্যতম অবিচারও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা ও অভিজ্ঞতা অবশ্যই যোগদানের তারিখ থেকে গণনা করা উচিত। এটি শুধু শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নয়; শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়ন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্যও অপরিহার্য। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লেখক : কলেজ শিক্ষক ও কলাম লেখক।