বালু লুট বন্ধে কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসন

আপলোড সময় : ২৮-০৮-২০২৫ ১০:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৮-০৮-২০২৫ ১০:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: অবৈধ পন্থায় বালু পরিবহন ও ইজারাবিহীন বালুমহাল থেকে বালু লুট বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কোনো ঘটনা ঘটলে তা স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ে মধ্যে অবহিত করার জন্য জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী, অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে ওইদিন বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন করে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা করে জেলা প্রশাসন। যেখানে উঠে আসে সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, ধোপাজান, চেলাসহ বিভিন্ন নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন ও পরিবহনের বিষয়। বালু লুট বন্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে জানিয়ে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ বালুমহাল যাদুকাটা ও ধোপাজান বন্ধ রয়েছে। এখানে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। কোথাও অবৈধ পন্থায় বালি পরিবহন করা হলে আমাদের জানান। আমরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি বলেন, দোয়ারাবাজারের চেলা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের যে অভিযোগ আসছে তার বিষয়ে আমরা ইজারাদারকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি- সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। গত এক বছরে ১১৬টি মোবাইল কোর্টে ২৪৮টি মামলা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে ২৬৭ জনকে দন্ডিত করা হয়েছে। ৭৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা অর্থদ- ও ১২১ জনকে কারাদন্ড এবং ১ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়েছে। এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল, তাপস শীল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com