
আকরাম উদ্দিন::
প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পর সুনামগঞ্জ মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র ৬ শয্যা থেকে ২০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। শুরু হয়েছিল ২০ শয্যার অবকাঠানো নির্মাণের জন্য ৮তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের নির্মাণকাজ। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ হওয়ায় জনমনে হতাশা বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয় এই ভবনের নির্মাণকাজ। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবনের নির্মাণ শুরু করে সুনামগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম.এন.পি.এম.এ.আর.জেবি। সুনামগঞ্জের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, ২০২৪ সালের জুন মাসে ভবন নির্মাণ কাজের ৪র্থ অপারেশন প্ল্যানের বরাদ্দ শেষ হয়ে যায়। ভবন নির্মাণের মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এরপর ৫ম অপারেশন প্ল্যানের বরাদ্দ পেতে ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে চলেছেন। এই বরাদ্দ না আসায় দীর্ঘ এক বছর যাবত ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। তবে ৬ তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই হওয়ায় এই ভবনের কাজ ৫১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি সুনামগঞ্জের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের। মা ও শিশুদের সেবার জন্য এই কেন্দ্রটিতে ২০ শয্যার সেবা চালু হলে হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলার মানুষজন বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।
সুনামগঞ্জে গর্ভবতী মা এবং শিশুদের প্রয়োজনীয় সেবাদানের জন্য ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র’। এখানে সেবাপ্রার্থী মা ও শিশুদের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও শয্যা আর বাড়েনি। শয্যা বাড়ানোসহ একটি ভবন নির্মাণের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ করেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্টজনেরাও যোগাযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে। সবার চেষ্টার ফলেই অবশেষে এটি ২০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে।
জানা গেছে, পৌর শহরের ডি.এস রোডে অবস্থিত সুনামগঞ্জ মা ও শিশুকল্যাণকেন্দ্র শুরুতে এখানে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হতো। স্বাধীনতার পর এটি সরকারিভাবে পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন হলেও একটি টিনশেড ঘরে চলে আসছিল মূল সেবা কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলা শহর ও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্প আয়ের পরিবারের গর্ভবতী মা এবং শিশুরাই এখানে সেবা নিতে আসেন বেশি। এখানে প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে ৩০ থেকে ৪০ জন নবজাতক শিশুর সেবা দেওয়া হয়। এছাড়া এখানে স্বাভাবিক প্রসবের পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) জসিম উদ্দীন খান অবসরে যাওয়ার পর থেকে সিজার বন্ধ আছে। তবে প্রতিমাসে এখানে গড়ে স্বাভাবিক প্রসব হয় ৫০ থেকে ৬০টি। এখানে একটি কক্ষে ছয়টি শয্যা ছিল। অনেক সময় রোগী বেশি হলে মেঝেতে থেকেই সেবা নিতে হয়েছে তাঁদের। এ ছাড়া অস্ত্রোপচারের পর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রসূতি মাকে নিবিড় পরিচর্যাকক্ষে রাখার কথা থাকলেও সে রকম কোনো কক্ষ না থাকায় সম্ভব হতো না। এখন ২০ শয্যা চালু হলে এসব সংকট আর থাকবে না। ২০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর কেন্দ্রের সামনের অংশে থাকা টিনশেড ভবনটি ভেঙে সেখানে আটতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। এই কারণে এই বর্তমানে কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে শহরের হাছননগর এলাকার ময়নার পয়েন্ট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায়।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের জান্নাত বেগম বলেন, আমাদের রোগীদের সুষ্ঠু সেবা নিশ্চিত করতে এই ভবন নির্মাণকাজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ নির্মাণকাজ বন্ধ হওয়ায় আমরা এখন হতাশাগ্রস্ত। আমরা চাই সরকারের দ্রুত বরাদ্দে এই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হোক।
পৌর এলাকার বাসিন্দা আবুল বরকত জানান, বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের জন্য একজন মায়ের ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এই ব্যয় বহন করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। যে কারণে মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে প্রসূতি মায়েদের ভিড় থাকে বেশি। আবার অনেকেই আসেন গ্রাম থেকে, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের। নতুন ভবনে দ্রুত ২০ শয্যার সেবা চালু হলে সুনামগঞ্জবাসীর জন্য খুবই উপকার হবে।
সুনামগঞ্জ টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য (সনাক) কানিজ সুলতানা বলেন, আমাদের স্বপ্ন আশা-প্রত্যাশা থেমে আছে। সুনামগঞ্জ মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের ভবন নির্মাণকাজ দ্রুত চালু করার দাবি আমাদের।
সুনামগঞ্জের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল ফিরোজ বলেন, ২০২৪ সালের জুন মাসে ভবন নির্মাণকাজের ৪র্থ অপারেশন প্ল্যানের বরাদ্দ শেষ হয়ে যায়। ৫ম অপারেশন প্ল্যানের বরাদ্দের জন্য চেষ্টা চলছে। এই বরাদ্দ না আসায় এখন ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ আছে। এই ভবনের কাজ প্রায় ৫১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পর সুনামগঞ্জ মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র ৬ শয্যা থেকে ২০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। শুরু হয়েছিল ২০ শয্যার অবকাঠানো নির্মাণের জন্য ৮তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের নির্মাণকাজ। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ হওয়ায় জনমনে হতাশা বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয় এই ভবনের নির্মাণকাজ। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবনের নির্মাণ শুরু করে সুনামগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম.এন.পি.এম.এ.আর.জেবি। সুনামগঞ্জের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, ২০২৪ সালের জুন মাসে ভবন নির্মাণ কাজের ৪র্থ অপারেশন প্ল্যানের বরাদ্দ শেষ হয়ে যায়। ভবন নির্মাণের মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এরপর ৫ম অপারেশন প্ল্যানের বরাদ্দ পেতে ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে চলেছেন। এই বরাদ্দ না আসায় দীর্ঘ এক বছর যাবত ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। তবে ৬ তলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাই হওয়ায় এই ভবনের কাজ ৫১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি সুনামগঞ্জের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের। মা ও শিশুদের সেবার জন্য এই কেন্দ্রটিতে ২০ শয্যার সেবা চালু হলে হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলার মানুষজন বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।
সুনামগঞ্জে গর্ভবতী মা এবং শিশুদের প্রয়োজনীয় সেবাদানের জন্য ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র’। এখানে সেবাপ্রার্থী মা ও শিশুদের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও শয্যা আর বাড়েনি। শয্যা বাড়ানোসহ একটি ভবন নির্মাণের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ করেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্টজনেরাও যোগাযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে। সবার চেষ্টার ফলেই অবশেষে এটি ২০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে।
জানা গেছে, পৌর শহরের ডি.এস রোডে অবস্থিত সুনামগঞ্জ মা ও শিশুকল্যাণকেন্দ্র শুরুতে এখানে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হতো। স্বাধীনতার পর এটি সরকারিভাবে পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন হলেও একটি টিনশেড ঘরে চলে আসছিল মূল সেবা কার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলা শহর ও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্প আয়ের পরিবারের গর্ভবতী মা এবং শিশুরাই এখানে সেবা নিতে আসেন বেশি। এখানে প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে ৩০ থেকে ৪০ জন নবজাতক শিশুর সেবা দেওয়া হয়। এছাড়া এখানে স্বাভাবিক প্রসবের পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) জসিম উদ্দীন খান অবসরে যাওয়ার পর থেকে সিজার বন্ধ আছে। তবে প্রতিমাসে এখানে গড়ে স্বাভাবিক প্রসব হয় ৫০ থেকে ৬০টি। এখানে একটি কক্ষে ছয়টি শয্যা ছিল। অনেক সময় রোগী বেশি হলে মেঝেতে থেকেই সেবা নিতে হয়েছে তাঁদের। এ ছাড়া অস্ত্রোপচারের পর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্রসূতি মাকে নিবিড় পরিচর্যাকক্ষে রাখার কথা থাকলেও সে রকম কোনো কক্ষ না থাকায় সম্ভব হতো না। এখন ২০ শয্যা চালু হলে এসব সংকট আর থাকবে না। ২০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর কেন্দ্রের সামনের অংশে থাকা টিনশেড ভবনটি ভেঙে সেখানে আটতলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। এই কারণে এই বর্তমানে কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে শহরের হাছননগর এলাকার ময়নার পয়েন্ট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায়।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের জান্নাত বেগম বলেন, আমাদের রোগীদের সুষ্ঠু সেবা নিশ্চিত করতে এই ভবন নির্মাণকাজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ নির্মাণকাজ বন্ধ হওয়ায় আমরা এখন হতাশাগ্রস্ত। আমরা চাই সরকারের দ্রুত বরাদ্দে এই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হোক।
পৌর এলাকার বাসিন্দা আবুল বরকত জানান, বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের জন্য একজন মায়ের ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এই ব্যয় বহন করা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। যে কারণে মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে প্রসূতি মায়েদের ভিড় থাকে বেশি। আবার অনেকেই আসেন গ্রাম থেকে, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের। নতুন ভবনে দ্রুত ২০ শয্যার সেবা চালু হলে সুনামগঞ্জবাসীর জন্য খুবই উপকার হবে।
সুনামগঞ্জ টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য (সনাক) কানিজ সুলতানা বলেন, আমাদের স্বপ্ন আশা-প্রত্যাশা থেমে আছে। সুনামগঞ্জ মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের ভবন নির্মাণকাজ দ্রুত চালু করার দাবি আমাদের।
সুনামগঞ্জের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল ফিরোজ বলেন, ২০২৪ সালের জুন মাসে ভবন নির্মাণকাজের ৪র্থ অপারেশন প্ল্যানের বরাদ্দ শেষ হয়ে যায়। ৫ম অপারেশন প্ল্যানের বরাদ্দের জন্য চেষ্টা চলছে। এই বরাদ্দ না আসায় এখন ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ আছে। এই ভবনের কাজ প্রায় ৫১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।