
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের খোঁজ দেওয়ার বিষয়ে পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, লুট হওয়া পিস্তলের জন্য ৫০ হাজার, শটগানের জন্য ৫০ হাজার, চায়না রাইফেলের জন্য এক লাখ, এসএমজির জন্য এক লাখ ৫০ হাজার, এলএমজির জন্য পাঁচ লাখ, প্রতি রাউন্ড গুলির জন্য ৫০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কেউ লুট হওয়া অস্ত্রের তথ্য দিলে তার তথ্য গোপন রাখা হবে। নির্বাচনের আগে যতটা সম্ভব লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করবো।
এর আগে ১০ আগস্ট জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রের খোঁজ দিলে পুরস্কার মিলবে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরগুলোতে এখন প্রচুর নিয়োগ হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এতে নিয়োগ বাণিজ্য হলে সে খবর জানান। নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে নিয়োগ বাণিজ্যের খবর হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চেয়ারে বসার পর বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন গজিয়েছে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজিতে জড়িত হলে জানাবেন। উপদেষ্টার কেউ দুর্নীতি করলে সে খবর প্রকাশ করেন। তবে ভুল খবর না প্রকাশের অনুরোধ করেন তিনি।
গত ১০ আগস্ট স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, লুট হওয়া ৭০০টিরও বেশি পুলিশের অস্ত্রের এখনো খোঁজ মেলেনি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার পতনের পর বিভিন্ন থানা-ফাঁড়িসহ পুলিশের নানা স্থাপনা থেকে ৫ হাজার ৭৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়। গোলাবারুদ লুট হয় ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯টি। লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের রাইফেল, এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজি (লাইট মেশিনগান), পিস্তল, শটগান, গ্যাসগান, কাঁদানে গ্যাস লঞ্চার, কাঁদানে গ্যাসের শেল, কাঁদানে গ্যাসের স্প্রে, সাউন্ড গ্রেনেড ও বিভিন্ন বোরের গুলি।