
ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার ধারাম হাওরে ট্রলার ডুবিতে নুসরাত নামের সাত বছর বয়সী এক শিশু ও সামছুদ্দিন মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া বাবুল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই দুর্ঘঘটনা ঘটে। নিখোঁজ শিশুটির বাড়ি উপজেলার ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে এবং নিখোঁজ বৃদ্ধের বাড়ি একই ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রাম থেকে শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ট্রলারযোগে নারী, শিশু ও পুরুষসহ সাতজন পাশের জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামে কনে দেখার উদ্দেশে রওয়ানা হলে এই ট্রলারটি উপজেলার ধারাম হাওরের মধ্যবর্তী স্থানে যাওয়া মাত্রই প্রবল ঢেউয়ে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজন সাঁতরে তীরে উঠলেও শিশু নুসরাত ও বৃদ্ধ সামছুদ্দিন হাওরে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। তবে সাঁতরে তীরে উঠতে গিয়ে গুরুতর আহত হন শিশু নুসরাতের বাবা বাবুল মিয়া (৪৫)। এলাকাবাসী ওইদিন সকাল পৌনে ১১টার দিকে গুরুতর আহত বাবুল মিয়াকে উদ্ধার করে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। পরে সেখানকার ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
ট্রলারডুবির খবর পেয়ে ধর্মপাশা থানা পুলিশ ওইদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এবং ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এক দল সদস্য সকাল ১১টার দিকে এবং বিকেল পৌনে চারটার দিকে ময়মনসিংহ থেকে একদল ডুবুরি ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। স্থানীয় জেলেদের পাশাপাশি ওইদিন বিকেল চারটার দিকে ময়মনমিংহ থেকে আসা ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালালেও সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত নিখোঁজ দুইজনের সন্ধান মেলেনি।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ দুইজনকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় জেলেরা ও একদল ডুবুরি চেষ্টা করেছেন। ইউএনও স্যারও আমাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সন্ধান না মেলায় উদ্ধার কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ আবার শুরু করা হবে।