
স্টাফ রিপোর্টার ::
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে মানুষ যে আকাক্সক্ষা নিয়ে জীবন দিয়েছে, তা পূরণ হয় নি। স্বৈরাচারী শাসকের বিদায় হয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। কিন্তু দেশে এখনো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা রয়ে গেছে। এই ব্যবস্থার উৎখাত না হলে মানুষের মুক্তি আসবে না। লুটেরাতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
সুনামগঞ্জে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ১৩তম জেলা সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। শনিবার দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অনিরুদ্ধ দাস অঞ্জন।
জেলা সিপিবি’র সভাপতি এনাম আহমদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলার প্রবীণ কমিউনিস্ট নেতা রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু।
অনিরুদ্ধ দাস তাঁর বক্তব্যে বলেন, মানুষ যে স্বপ্ন নিয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে, জীবন দিয়েছে, মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। গণঅভ্যুত্থানের পর যে সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, তারা মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারছে না। এই সরকার নানাভাবে মানুষের বিপক্ষে যায় এমন কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে। এখন দেশে মব সৃষ্টি করে মানুষের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে। শিক্ষক, নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। মানুষ আতঙ্কে আছে। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না। এসবের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কমিউনিস্ট পার্টি যুগ যুগ ধরে যে লড়াই করছে, সেই লড়াই ছাড়া কোনো মুক্তি নেই। শোষকেরা একজোট হয়েছে। সব শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল সুমনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সংগঠনের নেতা অ্যাড. আনোয়ার হোসেন সুমন, আবু তাহের প্রমুখ।
উদ্বোধনী সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে শহরে মিছিল করেন সংগঠনের সদস্যরা। এরপর শহরের কালীবাড়ি এলাকার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন হয়।
কাউন্সিল অধিবেশনে দলীয় নেতা আব্দুল আউয়ালকে সভাপতি ও শাহজালাল সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।