সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আহ্বায়ক এবং সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সদস্যসচিব করে আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে বিভক্ত ও দুর্বল করার জন্য সামাজিক ও গণমাধ্যমে এ গুজব ছড়ানো হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের ভ্যারিফাই ফেসবুক পেজে এক পোস্ট দিয়ে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, আমাদেরকে (আওয়ামী লীগ) বিভক্ত করার জন্য, দুর্বল করার জন্য, এ রকম নানা রকম গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনকি মিডিয়াতেও ছড়ানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কারও পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। কোনো বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। গুজবকে না বলুন। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এতে বলা হয়, আমরা আগের চেয়ে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ থাকব। দেশের ক্রান্তিলগ্নে সব সময় আওয়ামী লীগ একতাবদ্ধ থেকেছে। কোনো গুজবে কান দেবেন না। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দপ্তর স¤পাদক বিপ্লব বড়–য়া স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে। যেটি আওয়ামী লীগের নানান ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও অনেককে পোস্ট করতে দেখা যায়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বমানবতার জননী শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। তিনি চলে যাওয়ার পর সারা দেশে জামায়াত-বিএনপির দোসররা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়েছে। ভাঙচুর, অগ্নি-সংযোগ, লুটপাটের শিকার হয়েছে মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়ি, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এতে মনোবল হারিয়ে ফেলেছে তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। এতে আরও বলা হয়, বিরাজমান পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা বা তার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কারও পক্ষেই দেশে এসে দলের হাল ধরা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায়, দলকে পুনর্গঠন করতে ও সুশৃঙ্খল করে গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলো। পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের এই অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি কার্যকর থাকবে। যেখানে আহ্বায়ক হিসেবে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অব্যাহতি পাওয়া মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম দেখা যায়। শুক্রবার রাতে এ বিষয়ে আইভী গণমাধ্যমকে বলেন, কে বা কারা আওয়ামী লীগের প্যাড ব্যবহার করে একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বা কেউ বলেওনি। এর আগেও আমাকে দলের সেক্রেটারি করা হবে এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে। বাস্তবে এসবের কোনো সত্যতা নেই।