
দিরাই প্রতিনিধি ::
দিরাইয়ে সোমা আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। দিরাই পৌরশহরের চন্ডিপুর গ্রামে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। সোমা আক্তার ওই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে কয়েস মিয়ার স্ত্রী।
এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সোমা আক্তারকে তার স্বামী দিরাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দিরাই হাসপাতালের চিকিৎসক পিন্টু রঞ্জন দাস জানান, বেলা ১টার দিকে সোমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, গৃহবধূর সোমার মৃত্যু স্বাভাবিক না রহস্যজনক এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সোমার বোন সাবিনা আক্তার বলেন, আমার বোনকে তার স্বামী ও আত্মীয়রা পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। সোমার পাশের বাড়ি আমার বিয়ে হলেও সোমার বিষয়ে তার স্বামী বা আত্মীয়রা আমাকে কিছু জানায়নি। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, অন্যের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি সোমার বাড়িতে গেলে তার স্বামী ও আত্মীয়রা প্রথমে আমাকে তাদের বাড়িতে ঢুকতে দেয় নি। আমাকে দেখে তড়িঘড়ি সোমাকে নিয়ে হাসপাতাল চলে যায়। হাসপাতালের ডাক্তার সোমাকে মৃত ঘোষণা করলে স্বামী কয়েস পালিয়ে যায়। আমি ঘাতকদের ফাঁসি চাই।
দিরাই থানার ওসি তদন্ত উত্তম দাস বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দিরাই হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।