স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুরে সালিশ বৈঠকে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার পরও প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত তাহিরপুরের মাসুদ মিয়া (৩৫)-কে গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে রেফার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামের আব্দুর রউফ ছেলে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা স্টেডিয়াম মাঠের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামে চুরির অপবাদ দিয়ে গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ৫ জনকে আটক করে সারারাত নির্যাতন করার ঘটনায় গ্রামজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এই বিরোধের কারণে সম্প্রতি দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এই বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি আনিসুল হক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক স¤পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুনাব আলী, সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিন পলাশ, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সহ-দপ্তর স¤পাদক মেহেদী হাসান উজ্জ্বল ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে সালিশে উভয়পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি এবং ভবিষ্যতে উভয়পক্ষকে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে বলা হয়। কিন্তু সালিশ সভার পরপরই ইয়াসিনের বাড়ির লোকদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। এসময় হামলাকারীরা মাসুদ মিয়াসহ অন্যান্যদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। পরে মাসুদ মিয়াকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে তাহিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এনিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাব আলী বলেন, সালিশে সমঝোতা করার পর হামলার ঘটনা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাইনুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।