সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেটের হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার-কে কেন্দ্র করে ওরসের নামে নাচ-গান-মদ-জুয়া, গাঁজা, অশ্লীলতা, নারী নৃত্যসহ যাবতীয় অসামাজিক-অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ছাত্র জনতা, উলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের মুসল্লিরা। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা মাজার মসজিদসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা মাজার গেটে জড়ো হন। এ সময় তারা সিলেট-তামাবিল সড়কে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা ওরসের নামে সব ধরনের অশ্লীলতা ও অনৈসলামিক কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান। এছাড়া শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশ ও রোববার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
প্রতি বছর নিয়ম অনুযায়ী ৪, ৫ ও ৬ রবিউল আউয়াল তিনদিন ব্যাপী ওরসের আয়োজন করে থাকে মাজার কর্তৃপক্ষ। কর্মসূচির মধ্যে প্রথম দিন খতমে কোরআন, দোয়া ও জিকির আজকার এবং মিলাদ মাহফিল। দ্বিতীয় দিন গিলাফ চড়ানো, গরু জবেহ, সারারাত জিকির আজকার ও মিলাদ মাহফিল এবং ভোর ৪টায় ফাতেহা পাঠ। শেষ দিন বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের পর নেওয়াজ বিতরণ করা হয়।
হযরত শাহপরাণ ছিলেন সোহরাওয়ারদিয়া এবং জালালীয়া বংশের একজন সূফী সাধক। বলা হয়ে থাকে ইয়েমেনের হাদরামুতে জন্মগ্রহণকারী হযরত শাহপরাণ (র.) ছিলেন হযরত শাহজালালের বোনের ছেলে। তিনি তার মামা হযরত শাহজালালের সাথে ভারতবর্ষে আসেন এবং ১৩০৩ সালে শাহজালালের নেতৃত্বে সিলেট অভিযানে অংশ নেন। সিলেট বিজয়ের পর শাহপরাণ (র.) সিলেট শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণগড় পরগণার খাদিমনগরে খানকাহ স্থাপন করে সুফী মতবাদভিত্তিক আধ্যাত্মিক চর্চা শুরু করেন। সিলেট অঞ্চলে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা ও ইসলামের প্রচারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।