
স্টাফ রিপোর্টার ::
ছাতকের সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। উপজেলার নোয়াকোট সীমান্তের ছনবাড়ি এলাকায় বুধবার সকালে তাদেরকে ঠেলে পাঠানো হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আটটি পরিবারের ২১ জন আছেন। তাদের মধ্যে ৪ পুরুষ, ১৫ নারী ও ২টি শিশু আছে। তারা জানায়, সিলেটে ৩, যশোরে ৫, নড়াইলে ৪ ও সাতক্ষীরায় ৮ জনের বাড়ি।
বিজিবি জানায়, ছাতকসহ সিলেটের কো¤পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত পথ দিয়ে নারী, শিশুসহ মোট ৫৫ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ। বুধবার ভোর ৪টা, সকাল ৭টা ও বেলা ১টার দিকে পুশইনের এসব ঘটনা ঘটে।
বিজিবি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আটক সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন। ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বাংলাদেশে পুশইনের জন্য বিএসএফের হাতে তুলে দেয়।
বিজিবি জানায়, কো¤পানীগঞ্জের কালাইরাগ সীমান্ত দিয়ে পুশইনকৃত ১৯ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৯ জন নারী ও ৫ শিশু রয়েছে। তারা নড়াইল, কুষ্টিয়া ও খুলনা জেলার বাসিন্দা। জৈন্তাপুরের শ্রীপুর সীমান্ত দিয়ে আসা ১৩ জনের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ৮ জন নারী ও ৩ শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি সিলেট, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, বরিশাল ও সাতক্ষীরায়। তামাবিলের নলজুরি এলাকা দিয়ে পুশইনকৃত ২ জনের বাড়ি যশোর জেলায়। এদিকে ছাতকের নোয়াকোট সীমান্তের ছনবাড়ি এলাকা দিয়ে পুশইন করা হয়েছে ২১ জনকে। তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী ও ২ শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি সিলেট, নড়াইল, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলায়।
৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই শেষে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুশইন ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা কড়া নজরদারিসহ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
সিলেটের ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে আটক ব্যক্তিরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানা গেছে। তাঁরা বিভিন্ন সময় অবৈধ পথে ভারতে গিয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।