
সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মাদক ও ‘ডাব্বা’ নামক জুয়ার ভয়াবহ বিস্তার এখন শুধু একটি সামাজিক ব্যাধিই নয়, বরং এটি পরিণত হয়েছে একটি প্রজন্ম ধ্বংসের যন্ত্রণাদায়ক বাস্তবতায়। বাজারের অন্তত ১০-১৫টি দোকানে প্রতিদিন খোলামেলাভাবে বসছে জুয়ার আসর। ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের সহজলভ্যতায় এলাকার উঠতি বয়সী তরুণরা দ্রুত এক ভয়ঙ্কর গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে।
অভিভাবকদের ভাষায়- সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা দিশেহারা। বাজার কমিটিও অসহায়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানে, কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় - কেন এখনও দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না? সামাজিক দায়বদ্ধতা ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের এমন নিষ্ক্রিয়তা গভীর উদ্বেগের।
আমরা দেখেছি, যেখানে প্রশাসনের তৎপরতা জোরালো, সেখানেই মাদক ও জুয়ার মতো অসামাজিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাহলে শ্রীপুরে এমন নিষ্ক্রিয়তা কেন? সংঘবদ্ধ চক্রের ছায়াতলে যদি এভাবে একের পর এক তরুণ বিপথে পা রাখে, তাহলে ভবিষ্যতে সেখানে চুরি, ছিনতাই, সহিংসতাসহ অন্যান্য অপরাধও বাড়বে - এটি অনিবার্য।
শুধু অভিযান চালিয়ে দায় শেষ হবে না। দরকার গোয়েন্দা নজরদারি, গ্রেপ্তার, বিচারিক প্রক্রিয়ায় দ্রুততা এবং পুনর্বাসনের উদ্যোগ। পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্কুল, মসজিদ ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
একটি প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমরা কি ভবিষ্যৎ রক্ষা করব, নাকি তা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেব?