
শহীদনূর আহমেদ ::
আদালতের নির্দেশনায় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জ শহরের ৭টি খালের কিছু অংশ দখলমুক্ত করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ফের দখলদারদের কবলে পড়েছে এগুলো। তবে শহরের খালগুলো উদ্ধারে ফের অভিযান শুরুর কথা জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
শীঘ্রই অভিযান শুরু হবে বলে জানাগেছে। জানাযায়, কামারখাল, বলাইখাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল ও নলুয়াখালি খাল এই পাঁচটি খাল ছাড়াও সুনামগঞ্জ শহরে একসময় ধোপাখালি খাল ও গাবরখালি খাল নামে আরও দুইটি বড় খালের অস্তিত্ব ছিল, যা এখন বেদখল।
প্রবীণ নাগরিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, মূলত পুরো সুনামগঞ্জ শহরটিই এসব খাল দিয়ে ঘেরা ছিল। এই খালগুলো সুরমা নদী ও শহর পার্শ্ববর্তী হাওরের সাথে সংযুক্ত ছিল। শহরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান উৎস ছিল এই খালগুলো। সেজন্য অতীতে টানা বৃষ্টিপাত হলেও শহরে কখনো জলাবদ্ধতা তৈরি হতো না। এখন শহর সম্প্রসারণ হয়েছে। একের পর এক গড়ে উঠছে নতুন আবাসিক এলাকা।
শহর সম্প্রসারণের কারণে ওই খালগুলোর প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে। কিন্তু পাল্লা দিয়ে একের পর এক খালগুলো দখল হয়ে গেছে। অবৈধ দখলদারদের মধ্যে প্রভাবশালী বাসিন্দা, পৌরসভা পরিচালিত স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার, এমনকি সরকারি স্কুল, ধর্মীয় স্থাপনাও রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি - বেলা শহরবাসীর পক্ষে উচ্চ আদালতে মামলা করলে আদালতের বিচারক অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার আদেশ দেন। আদালতের আদেশ প্রতিপালনে বিলম্ব হওয়ায় আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠন। এক পর্যায়ে ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসন ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার পাঁচ খাল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বেশ কিছুদিনের অভিযানে কামারখাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খালের অন্তত দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এছাড়া ষোলঘর এলাকার বলাইখালি খাল দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। তবে পরবর্তীতে উচ্ছেদ কার্যক্রম আর আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমানে অবৈধ স্থাপনার লাল দাগগুলো মুছে ফেলেছে দখলদাররা। অনেকে আবার নতুন করে খাল দখলে নেমেছে।
শনিবার শহরের কামারখাল ও তেঘরিয়া খাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যেসব জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছিল। কিছুদিনের ব্যবধানে সেই স্থানে আবার স্থাপনা তৈরি করেছে দখলদাররা। ফের দখলের বিষয়ে একাধিক দখলদার জানান, কোনো ধরনের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা হয়েছিল তাদের। অনেকেই আর্থিকভাবে অসচ্ছল থাকায় বাধ্য হয়ে তারা আবার অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করেছেন।
হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতা আব্দুল বাছির বলেন, ঘটা করে খাল উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল। আমরা আশাবাদী ছিলাম হয়তো খাল উদ্ধারে কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আবার খালগুলো দখল হচ্ছে। খাল উদ্ধারে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শহরের খালগুলো উদ্ধারের বিষয়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, খাল খনন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। খাল দখল মুক্ত করতে আমরা শীঘ্রই অভিযান শুরু করবো।
আদালতের নির্দেশনায় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জ শহরের ৭টি খালের কিছু অংশ দখলমুক্ত করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ফের দখলদারদের কবলে পড়েছে এগুলো। তবে শহরের খালগুলো উদ্ধারে ফের অভিযান শুরুর কথা জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
শীঘ্রই অভিযান শুরু হবে বলে জানাগেছে। জানাযায়, কামারখাল, বলাইখাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খাল ও নলুয়াখালি খাল এই পাঁচটি খাল ছাড়াও সুনামগঞ্জ শহরে একসময় ধোপাখালি খাল ও গাবরখালি খাল নামে আরও দুইটি বড় খালের অস্তিত্ব ছিল, যা এখন বেদখল।
প্রবীণ নাগরিকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, মূলত পুরো সুনামগঞ্জ শহরটিই এসব খাল দিয়ে ঘেরা ছিল। এই খালগুলো সুরমা নদী ও শহর পার্শ্ববর্তী হাওরের সাথে সংযুক্ত ছিল। শহরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান উৎস ছিল এই খালগুলো। সেজন্য অতীতে টানা বৃষ্টিপাত হলেও শহরে কখনো জলাবদ্ধতা তৈরি হতো না। এখন শহর সম্প্রসারণ হয়েছে। একের পর এক গড়ে উঠছে নতুন আবাসিক এলাকা।
শহর সম্প্রসারণের কারণে ওই খালগুলোর প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে। কিন্তু পাল্লা দিয়ে একের পর এক খালগুলো দখল হয়ে গেছে। অবৈধ দখলদারদের মধ্যে প্রভাবশালী বাসিন্দা, পৌরসভা পরিচালিত স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার, এমনকি সরকারি স্কুল, ধর্মীয় স্থাপনাও রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি - বেলা শহরবাসীর পক্ষে উচ্চ আদালতে মামলা করলে আদালতের বিচারক অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার আদেশ দেন। আদালতের আদেশ প্রতিপালনে বিলম্ব হওয়ায় আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠন। এক পর্যায়ে ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই জেলা প্রশাসন ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার পাঁচ খাল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বেশ কিছুদিনের অভিযানে কামারখাল, তেঘরিয়া খাল, বড়পাড়া খালের অন্তত দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এছাড়া ষোলঘর এলাকার বলাইখালি খাল দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। তবে পরবর্তীতে উচ্ছেদ কার্যক্রম আর আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমানে অবৈধ স্থাপনার লাল দাগগুলো মুছে ফেলেছে দখলদাররা। অনেকে আবার নতুন করে খাল দখলে নেমেছে।
শনিবার শহরের কামারখাল ও তেঘরিয়া খাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যেসব জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছিল। কিছুদিনের ব্যবধানে সেই স্থানে আবার স্থাপনা তৈরি করেছে দখলদাররা। ফের দখলের বিষয়ে একাধিক দখলদার জানান, কোনো ধরনের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা হয়েছিল তাদের। অনেকেই আর্থিকভাবে অসচ্ছল থাকায় বাধ্য হয়ে তারা আবার অস্থায়ী স্থাপনা তৈরি করেছেন।
হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতা আব্দুল বাছির বলেন, ঘটা করে খাল উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল। আমরা আশাবাদী ছিলাম হয়তো খাল উদ্ধারে কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আবার খালগুলো দখল হচ্ছে। খাল উদ্ধারে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শহরের খালগুলো উদ্ধারের বিষয়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, খাল খনন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। খাল দখল মুক্ত করতে আমরা শীঘ্রই অভিযান শুরু করবো।