স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান-চলতি নদীর মুখে অভিযান চালিয়েছে সদর মডেল থানা ও ডিবি পুলিশ সদস্যরা। বুধবার সকালে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে ৫টি স্টিলবডি নৌকা, ১৪ হাজার ৭শত ঘনফুট বালু জব্দসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, সদর মডেল থানার এসআই মো আব্দুস সবুর ও ডিবি পুলিশের এএসআই শরীফ উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে উত্তোলিত ১৪ হাজার ৭শত ঘনফুট বালু, বালু ভর্তি ৫টি স্টিলবডি নৌকা এবং ৪জনকে আটক করা হয়।
এদিকে, অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকার সুকানীরা নদীতে লাফ দিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। পরে নৌকায় থাকা ৪জনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জব্দকৃত বালু ও ৫টি স্টীল বডি নৌকার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
জব্দকৃত এমবি নাবিলা-নাহিদ নৌকার মালিক জাকির হোসেন, তাকমিনা পরিবহনের মালিক সোহাগ মিয়া, মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক লায়েছ মিয়া, আলীম উদ্দিন পরিবহনের মালিক আলীম উদ্দিন ও ড্রেজার ব্যবসায়ী হাফিজ উদ্দিন।
এই ঘটনায় পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সুনামগঞ্জের ডিবি ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ধোপাজান চলতি নদী থেকে বুধবার সকালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে ৫টি স্টিলবডি নৌকাসহ ১৪ হাজার ৭শত ঘন ফুট বালু জব্দ করা হয়েছে। একই সাথে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে বরাদ্দ পাওয়ার আগেই সড়ক নির্মাণ করে দিলেন ইউপি সদস্য
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হাসাউড়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত সড়কে জমে থাকা কাদায় দুর্ভোগ নিরসনে সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার আগেই দেড় শত ফুট সি.সি সড়ক পাকাকরণ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। এতে স্থানীয়দের যাতায়াতে স্বস্তি ফিরেছে।
সুনামগঞ্জের প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় কর্মকর্তা (পিআইও) এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পরামর্শে এই সড়কের পাকাকরণ করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরন মিয়া। পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস শুকুরের বাড়ির সামনে এই সড়কের পাকাকরণ করা হয়। এখন জন চলাচলের মূল সড়ক থেকে আব্দুস শুকুরের বাড়ি হয়ে প্যাচাকোণা পয়েন্ট পর্যন্ত লোকজন আসা-যাওয়া করতে পারছেন নির্বিঘেœ।
এলাকার বাসিন্দা নাসির মিয়া, আলী হোসেন, হাফিজ মিয়া, জাকির হোসেন, কামাল মিয়া, ফয়েজ মিয়াসহ অনেকে জানান, সামান্য বৃষ্টি হলে কাদা জমে থাকতো এই সড়কে। এতে শিক্ষার্থী, শিশু, মহিলা, রোগীসহ বিভিন্ন পেশার শত শত মানুষজন দুর্ভোগের শিকার হতেন। এখন সড়কের পাকাকরণ হওয়ায় মানুষ সড়কে চলাচলে স্বস্তি ফিরেছে।
ইউপি সদস্য হিরন মিয়া বলেন, পিআইও অফিসার ও চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে পরামর্শ দেওয়ায় বরাদ্দ পাওয়ার আগেই দ্রুত কাজ স¤পন্ন করেছি। পিআইও অফিসের লোকজন এসে সড়ক মেপে ১৫০ ফুট সীমা রেখা টেনে কাজ করার জন্য বলেছিলেন। তাই করেছি। এখন কাদামুক্ত সড়কে মানুষ চলাচলে স্বস্তি ফিরেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, সড়কে চলাচলে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকারি বরাদ্দের আগে কাজ করার জন্য ইউপি সদস্য হিরন মিয়াকে বলেছিলাম। পরে তিনি কাজটি সুন্দরভাবে করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ মানিক মিয়া বলেন, এলাকাবাসীর অনুরোধে মানুষের চরম দুর্ভোগ কমাতে বরাদ্দ আসার আগে ইউপি সদস্য সড়কের পাকাকরণ কাজ করেছেন। বরাদ্দ আসলে তার কাজের টাকা দেয়া হবে।