
স্টাফ রিপোর্টার ::
টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার ও বালু মহালে লুটপাট বন্ধ, শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা এবং পরিবেশ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ারে আন্তঃউপজেলা অধিকার পরিষদ ও সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর জেলা সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম সাঈদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আন্তঃউপজেলা অধিকার রক্ষা পরিষদের সভাপতি নূরুল হক আফিন্দী, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, জেলা সুজন’র সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল হাসান আতাহার, হাউস’র নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ, কেন্দ্রীয় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে কুদরত পাশা, আমার সুনামগঞ্জ এর সম্পাদক মো. সুহেল আলম, জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল হক মিলন, দোয়ারাবাজার উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান, জামালগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক মো. মদরিছ মিয়া চৌধুরী, ধোপাজান চলতি নদীর শ্রমিক নেতা মো. হাফিজুর রহমান, নূরুল ইসলাম নূরু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সম্পদ আর সৌন্দর্য্যে ভরপুর টাঙ্গুয়ার হাওরের চিত্র আজ করুণ। সুন্দরবনের পর জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ জলাভূমি হিসেবে ঘোষিত টাঙ্গুয়ার হাওর রামসার ঘোষণার পরও সুরক্ষিত ব্যবস্থাপনার অভাবে আজ অভিভাবকহীন। সবাই মিলে যেমন ইচ্ছে তেমন ধ্বংস করছে। মাছ, গাছ, পাখিসহ জীববৈচিত্র্যের আধার, বিশেষ করে মিঠাপানির মাছের জন্য বিখ্যাত এই হাওরে অবাধ আহরণের কারণে মাছ কমছে। হাওর ভরাট, বন ও আবাসস্থল ধ্বংস, মানুষের উৎপাত ও শিকারের ফলে কমছে পাখির সংখ্যা। যে অভয়ারণ্যে ট্রলারচালিত নৌকা ঢোকাই নিষেধ, সেখানে অবাধে চলছে শতাধিক হাউসবোট। পর্যটকদের অবাধ বিচরণও হাওরের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই সবার আগে পরিবেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। আবার টাঙ্গুয়ার হাওরের পর্যটনের কারণে স্থানীয় মানুষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না, বরং তারা নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। হাওরের সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। এভাবে পর্যটন চলতে পারে না। স্থানীয় মানুষের স্বার্থ অবশ্যই দেখতে হবে। এখানে নৌকাগুলোকে একটি নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করতে হবে এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকা মূল টাঙ্গুয়ার হাওরের ঢোকার আগেই থামিয়ে দিতে হবে। এটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে এখানে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে একসময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যটন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আশা করি সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারিভাবে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও ৫ আগস্টের পর থেকে যাদুকাটা ও ধোপাজান নদী থেকে অবৈধভাবে শত কোটি টাকার বালু লুটপাট হয়েছে। যার পেছনে প্রশাসনের দুর্নীতিবাজরা জড়িত। বক্তারা বলেন, প্রাচীন ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিলে হাজারো শ্রমিক পরিবার জীবিকা রক্ষা করতে পারবে।
টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার ও বালু মহালে লুটপাট বন্ধ, শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা এবং পরিবেশ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ারে আন্তঃউপজেলা অধিকার পরিষদ ও সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর জেলা সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম সাঈদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আন্তঃউপজেলা অধিকার রক্ষা পরিষদের সভাপতি নূরুল হক আফিন্দী, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এ কে এম আবু নাছার, জেলা সুজন’র সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল হাসান আতাহার, হাউস’র নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ, কেন্দ্রীয় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে কুদরত পাশা, আমার সুনামগঞ্জ এর সম্পাদক মো. সুহেল আলম, জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. ওবায়দুল হক মিলন, দোয়ারাবাজার উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান, জামালগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক মো. মদরিছ মিয়া চৌধুরী, ধোপাজান চলতি নদীর শ্রমিক নেতা মো. হাফিজুর রহমান, নূরুল ইসলাম নূরু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সম্পদ আর সৌন্দর্য্যে ভরপুর টাঙ্গুয়ার হাওরের চিত্র আজ করুণ। সুন্দরবনের পর জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ জলাভূমি হিসেবে ঘোষিত টাঙ্গুয়ার হাওর রামসার ঘোষণার পরও সুরক্ষিত ব্যবস্থাপনার অভাবে আজ অভিভাবকহীন। সবাই মিলে যেমন ইচ্ছে তেমন ধ্বংস করছে। মাছ, গাছ, পাখিসহ জীববৈচিত্র্যের আধার, বিশেষ করে মিঠাপানির মাছের জন্য বিখ্যাত এই হাওরে অবাধ আহরণের কারণে মাছ কমছে। হাওর ভরাট, বন ও আবাসস্থল ধ্বংস, মানুষের উৎপাত ও শিকারের ফলে কমছে পাখির সংখ্যা। যে অভয়ারণ্যে ট্রলারচালিত নৌকা ঢোকাই নিষেধ, সেখানে অবাধে চলছে শতাধিক হাউসবোট। পর্যটকদের অবাধ বিচরণও হাওরের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই সবার আগে পরিবেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। আবার টাঙ্গুয়ার হাওরের পর্যটনের কারণে স্থানীয় মানুষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না, বরং তারা নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। হাওরের সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। এভাবে পর্যটন চলতে পারে না। স্থানীয় মানুষের স্বার্থ অবশ্যই দেখতে হবে। এখানে নৌকাগুলোকে একটি নির্দিষ্ট রুটে চলাচল করতে হবে এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকা মূল টাঙ্গুয়ার হাওরের ঢোকার আগেই থামিয়ে দিতে হবে। এটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে এখানে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে একসময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যটন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আশা করি সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারিভাবে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও ৫ আগস্টের পর থেকে যাদুকাটা ও ধোপাজান নদী থেকে অবৈধভাবে শত কোটি টাকার বালু লুটপাট হয়েছে। যার পেছনে প্রশাসনের দুর্নীতিবাজরা জড়িত। বক্তারা বলেন, প্রাচীন ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিলে হাজারো শ্রমিক পরিবার জীবিকা রক্ষা করতে পারবে।