দোয়ারাবাজারে চেলা নদীর ভাঙন অব্যাহত

চোখের সামনে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি

আপলোড সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০৮:৫২:১৭ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ২৯-০৬-২০২৫ ০৮:৫৩:০৮ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্ত নদী চেলা এখন এক আতঙ্কের নাম। মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর লাগাতার বৃষ্টিতে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে বসতঘর, ফসলি জমি ও গ্রামের একমাত্র সড়ক।
নরসিংপুর ইউনিয়নের মন্তাজনগর, নাছিমপুর ও রহিমের পাড়া ভাঙনের মূল ঘূর্ণিপাকে পড়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য- চোখের সামনে ভিটেমাটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রতিকার নেই। পূর্ব চাইরগাঁও এবং সারপিনপাড়ায় প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে কিংবা অস্থায়ী ঝুপড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পাথর শ্রমিক শাহজাহান মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, নদী আমাদের সবকিছু গিলে খেয়েছে, আমাদের পাশে কেউ নেই। চাইরগাঁও থেকে সারপিন নগর পর্যšন্ত এক কিলোমিটার পাকা সড়ক ইতিমধ্যেই নদীতে হারিয়ে গেছে, আরেক কিলোমিটার এখন ঝুঁকির মুখে। ফলে অন্তত ২০টি গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদর ও সুনামগঞ্জ জেলার যোগাযোগ স¤পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ বলেন, ভাঙনের কারণে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শমসের আলী মন্টু জানিয়েছেন, সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইতোমধ্যে ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এলাকাবাসীর গভীর শঙ্কা- এই ভাঙন রোধে তাৎক্ষণিক ও কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সীমান্তবর্তী চেলা নদী তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com