
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেটে বিএনপির আলোচনা সভায় প্রকাশ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদির তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩০ মে) বিকেল ৫টায় নগরীর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সোলেমান হলে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার বাগবিতন্ডার ভিডিওটি রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েস লোদী সিলেট বিএনপিতে আরিফুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলয়ের নেতা হিসেবে পরিচিত।
জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। আর সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, যার হাত ধরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়েছে তার শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সিলেট মহানগর বিএনপির ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রথম সারির কোনো নেতা নেই। এখানে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বসে আছেন। আজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনো মেম্বার থাকতেন, তাহলে কমিটিতে নাম রাখার জন্য হল ভরে রাস্তা পর্যন্ত চলে যেতো। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে সংগঠনের প্রতি আমাদের কর্তব্য কী?
প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সভাপতির বক্তব্য দিতে এসে রেজাউল হাসান কয়েস লোদি তার বক্তব্য ফেসবুকে লাইভ না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা প্রায়ই বলতে শুনি ৫ আগস্টের নেতাকর্মী, আপনি ৫ আগস্টের আগে কোথায় ছিলেন। আরে ভাই, ৫ আগস্টের আন্দোলন ছিল মাত্র ১৫ দিনের। কিন্তু গত দেড় দশক থেকে আন্দোলন করেছে, যারা জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছে, গত দেড় দশক থেকে যারা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, যারা চাকরি হারিয়েছে, ব্যবসা হারিয়েছে, মা-বাবা, সন্তান হারিয়েছে, তাদের কোনো মূল্যায়ন নেই? আপনি প্রধান অতিথি আপনি আমাদের উৎসাহ দিবেন।
এসময় আরিফ মঞ্চে বসে কয়েস লোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নো, নো’। এক পর্যায়ে চেয়ার থেকে উঠে এসে বলেন, ‘এই শোনো, এই শোনো, আমি যে বক্তব্য দিয়েছি সেটার আলোকে কথা বলো। আমি কী বলেছি, পার্টির চেয়ারম্যানের....।’ এসময় অনুষ্ঠানস্থলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার রাতে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাড়া দেননি।
তবে আরিফুল হক চৌধুরী জানান, দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদাতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কেন গুরুত্বপূর্ণ নেতারা নেই, এ প্রসঙ্গে আমি বক্তব্য দিয়েছি। কয়েস লোদী অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে উঠে গিয়ে তাকে বলেছি, আমি বক্তব্য দিলাম একটা, আর তুমি বলছো আরেকটা।