
স্টাফ রিপোর্টার ::
নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’ - এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলা। রবিবার (২৫) সকালে জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। উদ্বোধনের পর থেকেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপিত ভূমি মেলার সেবা বুথগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
এ সময় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত সেবা গ্রহীতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভূমি মেলার স্টল থেকে খতিয়ানের অনুলিপি (পর্চা) ও মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি বিতরণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিরোদা রাণী রায়।
মেলায় সাধারণ মানুষ তাদের ভূমি সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান পাওয়ার পাশাপাশি খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি হাতে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। মেলায় আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, ভূমি সংক্রান্ত ভুল বোঝাবুঝি বা জটিলতা নিরসনে এই ধরনের মেলা অত্যন্ত ফলপ্রসূ। বিশেষ করে, যারা এখনো অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেননি, তারা সহজেই এই সেবা বুথ থেকে তা স¤পন্ন করতে পারছেন।
খতিয়ানের অনুলিপি (পর্চা) ও মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি বিতরণ শেষে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিরোদা রাণী রায় বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হেল্প ডেস্কে ১৫০ টাকায় খতিয়ানের আবেদন করা যায়। সেবা গ্রহীতারা যখনই আবেদন করেন তখন সাথে সাথে আমরা একটা নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে যেই যে উনারা কত দিনের মধ্যে খতিয়ান পাবেন। তারপর নির্ধারিত ঐ সময়ের মধ্যেই সেবা গ্রহীতাদের মাঝে খতিয়ান বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভূমি মেলা উপলক্ষে আজকে আমরা বেশ কয়েকজনের মধ্যে খতিয়ানের অনুলিপি (পর্চা) বিতরণ করেছি। একই সাথে একটি মৌজা ম্যাপের সার্টিফাইড কপি বিতরণ করা হয়েছে। পরে তিনি মেলায় উপস্থিত সকলকে ই-নামজারি, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা), স্মার্ট ভূমি রেকর্ড ও ম্যাপ, ই-পর্চার আবেদন, ভূমি সংক্রান্ত তথ্য যাচাই বাছাই ও স্মার্ট ভূমির নকশাসহ ভূমি সংক্রান্ত নানা কার্যক্রম অনলাইনে ঘরে বসেই স¤পাদন করতে উদ্বুদ্ধ করেন।