
ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার মোদাহরপুর গ্রামের আপন মামার বাড়ির বসতঘরের বারান্দা থেকে ভাগনে মিজানুর রহমান (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ শুক্রবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিজানুর মোদাহরপুর গ্রামের মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে। সে উপজেলার বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
এলাকাবাসী ও মিজানুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মোদাহরপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের সঙ্গে একই গ্রামের মেয়ে (১৭) সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের স¤পর্ক চলে আসছিল। তবে বিষয়টি মেয়ের পরিবার মেনে নিচ্ছিল না। এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বৈঠকও হয়েছে। শুক্রবার আনুমানিক ভোর রাত রাত ৪টার দিকে মিজানুর রহমান তাঁর আপন বোন জামাই নবীনুরের (৩৫) সাথে কথা বলে বাড়ির পাশে বৈঠকঘরে ঘুমাতে যান। শুক্রবার সকাল ছয়টার টার দিকে মিজানুরের মামার বসতঘরের বারান্দায় বাঁশের বর্গার সঙ্গে শাড়ি কাপড় পেঁচিয়ে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান কলেজ ছাত্রের ফুফু ঝুমঝুমা (৩০)। ফুফু ঝুমঝুমা পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে মিজানুরের নিথর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকাকে জানানো হলে তিনি পুলিশে খবর দেন। সংবাদ পেয়ে ধর্মপাশা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্রবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে লাশটি উদ্ধার করেন। ঘটনার পর থেকে মিজানুরের মামা ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
মিজানুরের বড় ভাই অপু (২৫) বলেন, আমার ছোট ভাই আত্মহত্যা করেনি। তারে মেরে বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় থানায় মামলা করব। আমার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য কে কে দায়ী তা ছোট ভাই ডায়েরিতে লিখে গেছে। ডায়েরিটি ও মিজানুরের মোবাইলটি পুলিশ নিয়ে গেছে।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, কলেজ ছাত্রের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।