
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাণীপুর গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুই দফা হামলা, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত রবি ও সোমবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০জন। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে সিলেট এম.এ. জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ঘটনায় সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করেন বাণীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইসলাম উদ্দিনের ছেলে মো. নূর উদ্দিন।
অভিযোগ থেকে জানাযায়, বাণীপুর গ্রামের একই পাড়ায় পাশাপাশি বাড়িতে রাতের বেলায় কে বা কারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ নিয়ে রবিবার রাত অনুমান সাড়ে ১০ টায় বিবাদী রাসেল মিয়া গং কথা কাটাকাটি শুরু করে। এরপর তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাৎক্ষণিক হামলা চালায় সাহেদা বেগমের বাড়িতে। এতে ৬ জন আহত হন। পরদিন সোমবার অনুমান বেলা ১১টায় একইভাবে শাহাবুদ্দীনের বাড়িতে হামলা চালায় রাসেল মিয়া গং। এ সময় আরও ৪ জন আহত হন। উভয় ঘটনায় মোট ১০জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন সাহেদা বেগম (৩৫), করিমুন নেছা (৭০), শামিমা আক্তার (১৩), জেবেদা বেগম (৫০), সাইদা বেগম (১৯), শাহাব উদ্দিন (৬৫), রুমি বেগম, আব্দুল হক (৩৫), হেলাল মিয়া (৩২)। এছাড়া বাণীপুর গ্রামের বাসিন্দা নূর উদ্দিনের ছেলে কামরুল (২৩) কে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার সময় সাহেদা বেগমের বসতঘর, শাহাবুদ্দীনের বসতঘর, শফিকুন নুরের বসতঘর, নিজাম উদ্দিনের বসতঘর, শিমুল মিয়ার বসতঘর এবং আব্দুল হকের দোকানঘর ভাঙচুর করা হয়। এই হামলার ঘটনায় ৫টি বসতঘর, ২টি পানির ডিপ কল ও ২টি পল্লী বিদ্যুতের মিটার ভাংচুর করা হয়। দোকানে হামলা করে একটি স্মার্ট টিভি, একটি ফ্রিজ, মালামাল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে হামলাকারীরা।
হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল হক বলেন, আমার দোকানে হামলা করে একটি স্মার্ট টিভি ৩২ ইঞ্চি, একটি ফ্রিজ, মালামাল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা সাহেদা বেগম বলেন, আমার বসতঘরে হামলা করে ব্যাপক ক্ষতি করেছে এবং আমাকে বেধড়ক মারপিট করে আব্দুন নুর ও রাসেল মিয়া গং। আমি ন্যায় বিচার চাই।
অভিযুক্ত ব্যক্তি বানীপুর গ্রামের মৃত মাফিজ আলীর ছেলে আব্দুন নুর উত্তেজিত স্বরে বলেন, ঘর-বাড়িতে হামলা করেছি তো কি হয়েছে। এখন এসব দেখতে এসেছেন। এলাকায় আমাদের উপর কোনো মাতব্বর নেই।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এস. আই আল আমিন বলেন, বাণীপুর গ্রামের মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সরেজমিনে তদন্তে যাবো। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।