
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
বাংলাদেশিদের জন্য কুয়েতের ভিসা আরো সহজ করা হয়েছে। এখন বিশেষ অনুমতি (লামনা) ছাড়াই কুয়েতে ভিসা পাবেন বাংলাদেশিরা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জন্য কুয়েতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ায় নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা জরুরি। কারণ, সতর্কতা ও যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণই হতে পারে নিরাপদ অভিবাসনের মূল চাবিকাঠি।
রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকলেও এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশিরা লামনা ছাড়াই কুয়েতের ভিসা পাচ্ছেন। তবে, ভিসা-সংক্রান্ত প্রতারণা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- দূতাবাসের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, কুয়েত প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ স¤পাদকসহ বিশিষ্টজনেরা।
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, “যেসব ভিসা আমরা সত্যায়িত করি, সেসব ক্ষেত্রে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দূতাবাসের চুক্তি থাকে। আমরা নিশ্চিত করি যে, বাংলাদেশি কর্মীরা কুয়েতে আসার পর তাদের বেতন, থাকা, চিকিৎসা ও ছুটি সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা যথাযথভাবে থাকবে।”
দালালের মাধ্যমে বিদেশে না গিয়ে দূতাবাস নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেছেন, “দালালদের মাধ্যমে না এসে, দয়া করে সঠিক ও বৈধ পদ্ধতিতে ভিসা গ্রহণ করুন। এতে প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং কুয়েতে নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হবে।”
ভিসা নিতে যেসব বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন: কুয়েত দূতাবাসের নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। দালালের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে না। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির তথ্য যাচাই করতে হবে। বেতন, আবাসন ও অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।