
স্টাফ রিপোর্টার ::
আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় সুনামগঞ্জ জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৫৪ হাজার ৮৫৪টি পশু। প্রাণিসম্পদ দপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ জেলায় এবার কোরবানি পশুর চাহিদা ৪৩ হাজার ৪২৪টি এবং প্রস্তুত আছে ৫৪ হাজার ৮৫৪টি। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৮২০টি ষাঁড়, ৪ হাজার ৩৫১টি বলদ, ৮ হাজার ১৬টি গাভি, ৩৮৭টি মহিষ, ১১ হাজার ৩৬৩টি ছাগল, ৫ হাজার ৫৭টি ভেড়া ও ৮৬০টি অন্যান্য পশু রয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলায় গত বছর চাহিদা ছিল ৫৪ হাজার ৩৬২টি এবং প্রস্তুত ছিল ৬২ হাজার ৬৮৮টি।
প্রাণিস¤পদ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান জানান, প্রতি বছর সিলেট অঞ্চলে প্রায় চার লাখ গরু কোরবানি হয়। এবার চাহিদা কিছু কম হতে পারে। প্রাথমিক হিসাবে এই বছর সিলেট বিভাগে কোরবানির পশুর চাহিদা আছে ২ লাখ ৭১ হাজার পাঁচশ। খামারিদের কাছে মজুত আছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫১৫টি।
চাহিদা অনুযায়ী এবার সিলেটে কোরবানির পশুর সংকট দেখছেন না তিনি। ডা. মারুফ হাসান বলেন, সিলেটে খামারিদের কাছে পর্যাপ্ত পশু আছে। এর পাশাপাশি অনেকেই কোরবানির সময় গৃহপালিত পশু বিক্রি করেন। কোরবানির হাটে প্রতিবছর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার গরু এনে বিক্রি করেন পাইকাররা। সবমিলিয়ে এবার চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি গরু, ছাগল, ভেড়া হাটে পাওয়া যাবে। তিনি জানান, হাটে বিক্রি স্থানীয় গৃহপালিত পশু এবং অন্যান্য জেলা থেকে পাইকারদের আনা বড় আকারের গরু ও ছাগল। সবমিলিয়ে এবার সিলেট অঞ্চলে সাড়ে তিন লাখের বেশি পশু কোরবানি হতে পারে।
বিগত বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ডা. মারুফ হাসান বলেন, সিলেটের অনেক প্রবাসী বড় গরু কুরবানি দিনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সিলেটে স্থানীয়ভাবে এই ধরনের গরু খুব কম উৎপাদন হয়। তাই, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় আকারের গরু সিলেটে আসে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।
প্রাণিস¤পদ দপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের চার জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত তিন লাখ ৯ হাজার গবাদি পশু। এর মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৭৫৬টি ষাঁড়, ৩২ হাজার ৩৬৮টি বলদ, ৩৭ হাজার ৩৯২টি গাভি, ৫ হাজার ৪২০টি মহিষ, ৭৭ হাজার ৬৪৬টি ছাগল, ২৪ হাজার ১৪টি ভেড়া ও ৯১৯ টি অন্যান্য পশু রয়েছে।