
স্টাফ রিপোর্টার::
জামালগঞ্জে শুকদেবপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার সকালে সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে এবং জসিম উদ্দিন সুহেলের সঞ্চালনায় মাদ্রাসা সংলগ্ন শুকদেবপুর মিলন বাজারে এই মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাহমুদুল হাসান দীর্ঘদিন যাবত শুকদেবপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্বপালনকালীন সময়ে সুপার মাহমুদুল হাসান বিভিন্ন দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে ছিলেন। পরে বিভিন্ন সময় গ্রামের সচেতন মহল হুঁশিয়ারি করে দেওয়ার পরও তিনি নিজেকে বিন্দুমাত্রও পরিবর্তন করেননি। বরং জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে তিনি আরো বেপরোয়া জীবন যাপন শুরু করেন। একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবসহ ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্যে অর্থনৈতিক নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন বক্তারা।
এছাড়াও বক্তারা আরো বলেন, গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতা ছেড়ে পালালেও মাহমুদুল হাসানের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব ও যৌন হয়রানির খবর ফাঁস হলে ছাত্র-জনতা ও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হয়ে উঠেন। ওই সময় ছাত্র-জনতার তোপের মুখে সটকে পড়েন সুপার মাহমুদুল হাসান। পরে তার অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করলে তদন্ত করে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলেও এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে।
বক্তব্যে স্থানীয় সাবেক ইউপি ওয়ার্ড সদস্য জসিম উদ্দিন সুহেল তার বলেন, সুপার মাহমুদুল হাসান একজন চরিত্রহীন ব্যাক্তি। সে বিভিন্ন সময় তার ছাত্রছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দিতো। এতে অনেকেই মানসম্মানের ভয়ে কিছু বলতো না। তাছাড়া মাদ্রাসার আয় ব্যায়েও সে অনেক জালিয়াতি করেছে। আমরা তার বিচার ও স্থায়ী পদত্যাগ চাই।
মাস্টার ওমর গণি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা এলাকাবাসী তার জন্য আমাদের ঐতিহ্য হারিয়েছি। সে আমাদেরকে বিভিন্ন সময় হয়রানি করেছে। আমরা এটার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
আরো বক্তব্য রাখেন, এমদাদুল হক, জামাল উদ্দিন, আব্দুস ছাত্তার প্রমুখ।
এ বিষয়ে শুকদেবপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাহমুদুল হাছান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জামালগঞ্জে শুকদেবপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার সকালে সাবেক মেম্বার আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে এবং জসিম উদ্দিন সুহেলের সঞ্চালনায় মাদ্রাসা সংলগ্ন শুকদেবপুর মিলন বাজারে এই মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাহমুদুল হাসান দীর্ঘদিন যাবত শুকদেবপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্বপালনকালীন সময়ে সুপার মাহমুদুল হাসান বিভিন্ন দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে ছিলেন। পরে বিভিন্ন সময় গ্রামের সচেতন মহল হুঁশিয়ারি করে দেওয়ার পরও তিনি নিজেকে বিন্দুমাত্রও পরিবর্তন করেননি। বরং জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে তিনি আরো বেপরোয়া জীবন যাপন শুরু করেন। একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবসহ ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্যে অর্থনৈতিক নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন বক্তারা।
এছাড়াও বক্তারা আরো বলেন, গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতা ছেড়ে পালালেও মাহমুদুল হাসানের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব ও যৌন হয়রানির খবর ফাঁস হলে ছাত্র-জনতা ও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হয়ে উঠেন। ওই সময় ছাত্র-জনতার তোপের মুখে সটকে পড়েন সুপার মাহমুদুল হাসান। পরে তার অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করলে তদন্ত করে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলেও এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে।
বক্তব্যে স্থানীয় সাবেক ইউপি ওয়ার্ড সদস্য জসিম উদ্দিন সুহেল তার বলেন, সুপার মাহমুদুল হাসান একজন চরিত্রহীন ব্যাক্তি। সে বিভিন্ন সময় তার ছাত্রছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দিতো। এতে অনেকেই মানসম্মানের ভয়ে কিছু বলতো না। তাছাড়া মাদ্রাসার আয় ব্যায়েও সে অনেক জালিয়াতি করেছে। আমরা তার বিচার ও স্থায়ী পদত্যাগ চাই।
মাস্টার ওমর গণি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা এলাকাবাসী তার জন্য আমাদের ঐতিহ্য হারিয়েছি। সে আমাদেরকে বিভিন্ন সময় হয়রানি করেছে। আমরা এটার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
আরো বক্তব্য রাখেন, এমদাদুল হক, জামাল উদ্দিন, আব্দুস ছাত্তার প্রমুখ।
এ বিষয়ে শুকদেবপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাহমুদুল হাছান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।