
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজারে সোনাপুর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলন শেষে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাস্টার জয়নাল আবেদীন।
লিখিত বক্তব্যে মাস্টার জয়নাল আবেদীন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান নিয়োগ-বাণিজ্যসহ লাগামহীন অনিয়ম-দুর্নীতিতে লিপ্ত রয়েছেন। ইতিমধ্যে তার এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎসহ নিয়োগের নামে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় একাধিক অভিযোগ এবং সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সুনামগঞ্জে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে (সিআর মামলা নং ১৬৭/২৫)।
তিনি বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান তৎকালীন সভাপতি আলী হোসেনের যোগসাজশে রাতের আঁধারে ১ লাখ টাকার বই নৌকা বোঝাই করে নিয়ে বিক্রি করেন। বিদ্যালয়ের সৌরবিদ্যুতের প্যানেল, ব্যাটারি, লাইট, ডিসি সিলিংফ্যান মোটর, ৭টি ক¤িপউটার, এলইডি লাইট ১৫ সহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল গোপনে বিক্রি করে দেন। ২০২৩ সালে বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিতে আয়েশা আক্তারের কাছ ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে নিয়োগ না হওয়ায় ওই নারী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত আয়েশা আক্তার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। একইভাবে প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান বিদ্যালয়ের দুইজন কর্মচারী দিয়ে স্থানীয় শ্রীপুরবাজারে নতুন বই বিক্রি করার সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরা পড়ে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমরা অবিলম্বে ছিদ্দিকুর রহমানকে অপসারণের দাবি জানান।
পরে এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাব আলী, রফিক আলী, আলীম উদ্দীন, আব্দুল মনাফ, সিরাজুল ইসলাম, কালা মিয়া, লাল মিয়া, কুতুব উদ্দিন, শানুর মিয়া, আব্দুল বারী, আমীর আলী, আব্দুল কাদির, আব্দুল কাহার, সামসুল হক, নুরুল মোত্তাক্বীন, তাজুল হক প্রমুখ।
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে সোনাপুর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।