
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজারে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা পরবর্তীতে মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছেন নিরীহ পরিবার। বখাটের স্বজনরা প্রভাবশালী হওয়ায় হুমকি-ধমকিতে ভিকটিম পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনয়তা রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এদিকে, মামলা দায়েরের প্রায় এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি বখাটে।
রোববার বিকেলে উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে ভিকটিম শিশুর মা ও বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।
তাঁরা বলেন, গরীবের বিচার নেই, থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকে বখাটে মোহাম্মদ আলীর প্রভাবশালী আত্মীয়-স্বজনরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে মামলা তুলে না নিলে আমাদের গ্রামে থাকতে দেবে না।
ভিকটিমের বাবা বলেন, মামলা দায়েরের ২৫ দিনেও অভিযুক্ত আসামি গ্রেফতার হয়নি, এখন উল্টো তারা মামলা তুলে নিতে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমি দিনমজুর, টাকা-পয়সা নেই বলে কোনো বিচার পাচ্ছি না।
ভিকটিমের মামা আবু বকর জানান, পুলিশের কাছে গেলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজান সাহেব বলেন, আসামির সন্ধান দিন, আমরা ধরবো। নতুবা দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগান, আসামি ধরে দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের একটি গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে আসামির মা বাসন মাজতে ডেকে নিলে নির্জনে পেয়ে মেয়েটির গলাটিপে ধরে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা চালায় একই গ্রামের মৃত ইলিয়াছ আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলী (২৪)। পরে নিকটবর্তী ঘরের বাসিন্দা ও মেয়ের মা মেয়েকে তার কবল থেকে উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন দোয়ারাবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয় (মামলা নং ১৬, ১৭/০৪/২০২৫)।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. জাহিদুল হক বলেছেন, আসামিকে গ্রেফতারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। আসামি পক্ষ ভিকটিম পরিবারকে হুমকি ধমকি দিয়ে থাকলে থানায় এসে জিডি করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।