সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক ও সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়সহ ছয়জনের ফের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পৃথক তিন হত্যা মামলায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ স¤পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
গত ২৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে কলেজ শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যার ঘটনায় লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে রবিবার ভোরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় টুকু, জয় ও সোহায়েলের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আক্কাস মিয়া। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক আহমদ হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ স¤পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে আদাবর থানার পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বণিক।
আর পলককে বাড্ডা থানার সুমন শিকদার হত্যা এবং সূত্রাপুর থানার ইকরাম হোসেন কাউসার ও ওমর ফারুক হত্যা মামলায় সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে পলককে দুই মামলায় তিনদিন করে ছয়দিন ও বাকিদের তিনদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
গত ১৪ আগস্ট রাতে খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ এলাকা থেকে টুকু, পলক ও সৈকতকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর আগে ৬ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দিল্লি যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পলককে আটকে দেওয়া হয়। অপরদিকে ২০ আগস্ট রাতে সোহায়েলকে বনানী ও আহমদ হোসেনকে গুলশান এলাকা থেকে আটক করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। গত ১৯ আগস্ট রাতে ধানমন্ডি এলাকা থেকে আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।