হাওরের সমস্যা সমাধানে স্থায়ী উদ্যোগ নেয়া হবে : যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল আরিফ

আপলোড সময় : ০৯-০৫-২০২৫ ০১:৫৬:৪৪ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৯-০৫-২০২৫ ০২:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন
তানভীর আহমেদ::
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আব্দুল্লাহ আল আরিফ বলেছেন, সুনামগঞ্জের মানুষ মাটির যে অভিজ্ঞতা দিতে পারবেন তা অন্যান্য এলাকার মানুষ দিতে পারবে না।
আপনারা হাওরের মানুষ হাওর নিয়ে কমবেশি সবাই কাজ করছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। হাওরের যে মূল জ্ঞান তাও আপনাদের মধ্যে আছে। আপনাদেরকে নিয়েই আমরা হাওরের সমস্যা সমাধানে স্থায়ী উদ্যোগ নিব।

ইতিমধ্যে আপনাদের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাওরের একমাত্র বোরো ফসল কৃষকের ঘরে উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধুমাত্র কৃষকের ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছে। বাঁধের কাজও কিন্তু আপনারাই (কৃষকরা) করেছেন, জেলা প্রশাসক ও আমাদের পাউবো’র কর্মকর্তাগণ তদারকি করেছেন। যার কারণে এইবছর বাঁধের কাজ সঠিক ভাবে হয়েছে।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ হচ্ছে হাওরের মূল কেন্দ্র। এই জেলায় অনেকগুলো হাওর রয়েছে। যেগুলোতে প্রতিবছরই বোরো ফসল রোপণ করা হয়। ২০১৭ সালের আগাম বন্যায় ফসলহানির পর সরকার নতুন করে কাবিটা নীতিমালা প্রণয়ন করে। তারপর থেকে প্রতিবছরই কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ করে আসছে। আমরা ২০১৭ সালের কাবিটা নীতিমালার কিছু কিছু যায়গায় সংশোধন করবো। যেখানে সংশোধন করা বেশি জরুরি আপনারা সেগুলো লিখিতভাবে জেলা প্রশাসক বরাবর দিন, আমরা সেগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলবো, প্রয়োজনে সংশোধন করবো। নতুন করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
বৃহস্পপতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কাবিটা নীতিমালার আলোকে বাস্তবায়িত সুনামগঞ্জ জেলায় ডুবন্ত বাঁধে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আব্দুল্লাহ আল আরিফ আরও বলেন, বাঁধের কাজ শেষ হলেও প্রতিবছর বিল দিতে বিলম্ব হয় - এধরনের অনেক অভিযোগ কৃষকরা করে থাকেন।
আমরা সেই বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করবো। আমরা কৃষকদের আশ্বস্ত করতে চাই এবছর আমরা আমাদের জায়গা থেকে সাধ্য মতো চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে বিল দেওয়ার জন্য।
পরে তিনি গুণগত মান বজায় রেখে বাঁধের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমরা বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু করার পর থেকেই বিভিন্নভাবে বাঁধের খোঁজ-খবর রেখেছি। আমরা স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বলেছি, তাঁরা যেন আমাদের বাঁধের নির্মাণকাজে অনিয়ম হলে আমাদেরকে জানান। তাঁরা বাঁধের নির্মাণকাজ শেষে আমাকে যেমনটা জানিয়েছেন যে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এইবছর সবচেয়ে ভালো কাজ হয়েছে। আমরা এই ভালো কাজের কৃতিত্ব দিতে চাই হাওরের কৃষক ও পিআইসির সভাপতিদের। তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে যথাসময়ে বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ করেছেন। একই সাথে জেলার সাংবাদিকদেরকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তিনি বলেন, আমরা আমাদের কৃষকদের নিয়ে আনন্দ আয়োজন করতে চাই। আগামী মঙ্গলবার আমরা কৃষকের নিয়ে শনির হাওরে একসাথে এই আনন্দ আয়োজন করবো।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কাওছার আলম, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, পিপি অ্যাড. মল্লিক মঈন উদ্দিন মো. সোহেল, অ্যাডভোকেট শেরেনূর আলী, জসিম উদ্দিন, সালেহিন চৌধুরী শুভ, শহীদনূর আহমেদ, কৃষক মোহাম্মদ আয়না মিয়া, কৃষক শামীম আহমেদ, কৃষক মোহাম্মদ আজিমুল হক প্রমুখ।

সম্পাদকীয় :

  • সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মো. জিয়াউল হক
  • সম্পাদক ও প্রকাশক : বিজন সেন রায়
  • বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : মোক্তারপাড়া রোড, সুনামগঞ্জ-৩০০০।

অফিস :

  • ই-মেইল : [email protected]
  • ওয়েবসাইট : www.sunamkantha.com