
স্টাফ রিপোর্টার ::
প্রায় একযুগ ধরে সংস্কার হচ্ছেনা জামালগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে যোগাযোগের একমাত্র জামালগঞ্জ-জয়নগর সড়কটি।
এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সংস্কার না করায় রাস্তাটি বিভিন্ন অংশে বিলীন হওয়ার পথে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়কটি সংস্কারের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন করে আসলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা।
সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ও একমাত্র সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত পত্র দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জামালগঞ্জ উপজেলা হেডকোয়ার্টার থেকে জয়নগর জিসি ভায়া নোয়াগাঁও বাজার পর্যন্ত ১১.৩০০ কিলোমিটার একটি সড়ক রয়েছে। এই সড়কটি সরাসরি জামালগঞ্জ উপজেলা সদরে আসার একমাত্র সড়ক। গত একযুগ ধরে বন্যায় ধারাবাহিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়কটি।
সর্বশেষ ২০২২ ও ২০২৪ সালের বন্যায় এই সড়কটির বিভিন্ন অংশ চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। এই সড়কটি ২০২২ সালের ফ্লাড প্রকল্পে ডিপিপিভুক্ত হলেও এখনো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছেনা। ফলে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে জামালগঞ্জ উপজেলা ও ধর্মপাশা উপজেলার লাখো মানুষের।
জানা গেছে এই প্রকল্পের পরিচালকের নির্দেশক্রমে প্রাক্কলন প্রস্তুত করে পাঠানো হলেও এখনো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বিলম্বের কারণে পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি আরসিআইপি-২ প্রকল্পে ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজেও বিলম্ব হওয়ায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির কাজ সিএএফডিআর-২ প্রকল্পে ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে একযুগেরও বেশি সময় ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জামালগঞ্জ উপজেলাবাসীর সঙ্গে ধর্মপাশা উপজেলাবাসীও সুনামগঞ্জ ও বিভাগীয় শহর সিলেটে যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, একসময় সুরমা নদী দিয়ে নৌপথে যাত্রীরা যাতায়াত করতেন। এখন আর সুরমা নদীতে যাত্রীবাহী পরিবহন চলেনা। তাই যাত্রীদের এই সড়কই যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় যাত্রীদের সঙ্গে রোগীদেরও দ্রুত চিকিৎসার জন্য নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এতে দুর্ঘটনা ঘটছে পথেই। তাছাড়া বিড়ম্বিত যোগাযোগের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও ক্ষতি বাড়ছে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী বলেন, জামালগঞ্জ জয়নগর-কাঠইর সড়কটি দুটি উপজেলার একমাত্র সড়ক। যেটি সরাসরি জেলা ও বিভাগীয় শহরে যোগাযোগের জন্য আমাদের ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একমাত্র সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছেই। অবিলম্বে সড়কটি বিশেষ প্রকল্পে সংস্কার করে জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকারকে এগিয়ে আসা উচিত।
জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা শহর ও বিভাগীয় শহরে যাবার একমাত্র রাস্তা এটি। আমাদের পাশাপাশি ধর্মপাশা উপজেলার মানুষজনও রাস্তাটি ব্যবহার করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় আরো বিনষ্ট হচ্ছে। আমাদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। অবিলম্বে সড়কটির সংস্কার করে আমাদের দুর্ভোগ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হোক।
জামালগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, আমি আসার পর স্থানীয়রা জানালেন এক যুগের বেশি সময় ধরে একমাত্র এই সড়কটি সংস্কার হচ্ছেনা। জনদাবির প্রেক্ষিতে ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি পত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছি।
জেলা ও বিভাগীয় শহরের সঙ্গে সরাসরি একমাত্র যাতায়াতের এই সড়কটি সংস্কার দুটি উপজেলার মানুষের প্রাণের দাবি। আমি এ বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।
প্রায় একযুগ ধরে সংস্কার হচ্ছেনা জামালগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে যোগাযোগের একমাত্র জামালগঞ্জ-জয়নগর সড়কটি।
এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সংস্কার না করায় রাস্তাটি বিভিন্ন অংশে বিলীন হওয়ার পথে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সড়কটি সংস্কারের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন করে আসলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা।
সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ও একমাত্র সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত পত্র দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জামালগঞ্জ উপজেলা হেডকোয়ার্টার থেকে জয়নগর জিসি ভায়া নোয়াগাঁও বাজার পর্যন্ত ১১.৩০০ কিলোমিটার একটি সড়ক রয়েছে। এই সড়কটি সরাসরি জামালগঞ্জ উপজেলা সদরে আসার একমাত্র সড়ক। গত একযুগ ধরে বন্যায় ধারাবাহিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়কটি।
সর্বশেষ ২০২২ ও ২০২৪ সালের বন্যায় এই সড়কটির বিভিন্ন অংশ চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। এই সড়কটি ২০২২ সালের ফ্লাড প্রকল্পে ডিপিপিভুক্ত হলেও এখনো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছেনা। ফলে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে জামালগঞ্জ উপজেলা ও ধর্মপাশা উপজেলার লাখো মানুষের।
জানা গেছে এই প্রকল্পের পরিচালকের নির্দেশক্রমে প্রাক্কলন প্রস্তুত করে পাঠানো হলেও এখনো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বিলম্বের কারণে পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি আরসিআইপি-২ প্রকল্পে ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজেও বিলম্ব হওয়ায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির কাজ সিএএফডিআর-২ প্রকল্পে ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে একযুগেরও বেশি সময় ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জামালগঞ্জ উপজেলাবাসীর সঙ্গে ধর্মপাশা উপজেলাবাসীও সুনামগঞ্জ ও বিভাগীয় শহর সিলেটে যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, একসময় সুরমা নদী দিয়ে নৌপথে যাত্রীরা যাতায়াত করতেন। এখন আর সুরমা নদীতে যাত্রীবাহী পরিবহন চলেনা। তাই যাত্রীদের এই সড়কই যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় যাত্রীদের সঙ্গে রোগীদেরও দ্রুত চিকিৎসার জন্য নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এতে দুর্ঘটনা ঘটছে পথেই। তাছাড়া বিড়ম্বিত যোগাযোগের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও ক্ষতি বাড়ছে। রাস্তা খারাপ হওয়ায় পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী বলেন, জামালগঞ্জ জয়নগর-কাঠইর সড়কটি দুটি উপজেলার একমাত্র সড়ক। যেটি সরাসরি জেলা ও বিভাগীয় শহরে যোগাযোগের জন্য আমাদের ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একমাত্র সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছেই। অবিলম্বে সড়কটি বিশেষ প্রকল্পে সংস্কার করে জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকারকে এগিয়ে আসা উচিত।
জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা শহর ও বিভাগীয় শহরে যাবার একমাত্র রাস্তা এটি। আমাদের পাশাপাশি ধর্মপাশা উপজেলার মানুষজনও রাস্তাটি ব্যবহার করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় আরো বিনষ্ট হচ্ছে। আমাদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। অবিলম্বে সড়কটির সংস্কার করে আমাদের দুর্ভোগ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হোক।
জামালগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, আমি আসার পর স্থানীয়রা জানালেন এক যুগের বেশি সময় ধরে একমাত্র এই সড়কটি সংস্কার হচ্ছেনা। জনদাবির প্রেক্ষিতে ও উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি পত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছি।
জেলা ও বিভাগীয় শহরের সঙ্গে সরাসরি একমাত্র যাতায়াতের এই সড়কটি সংস্কার দুটি উপজেলার মানুষের প্রাণের দাবি। আমি এ বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।