
ধর্মপাশা প্রতিনিধি ::
ধর্মপাশা উপজেলার দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহমিনা আক্তার ও গাবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিখা আক্তার ছুটি না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ অবস্থায় ওই দুটি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট দুটি বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাহমিনা আক্তার গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। অপরদিকে উপজেলার গাবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিখা আক্তার গত বছরের ৫ মে থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে করে বিদ্যালয় দুটিতে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সহকারী শিক্ষক তাহমিনা আক্তারের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর সহকারী শিক্ষক শিখা আক্তার জানান, তিনি আর চাকরি করবেন না। খুব শিগগিরই অব্যাহতিপত্র জমা দেবেন।
দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন ও গাবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সহকারী শিক্ষক তাহমিনা আক্তার ও সহকারী শিক্ষক শিখা আক্তার ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি তারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ অবস্থায় বিদ্যালয় দুটির পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এই দুইজন সহকারী শিক্ষকের বেতন-ভাতাদি বন্ধ রয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বলেন, ছুটি না নিয়ে বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ওই দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।