
তানভীর আহমেদ ::
সুনামগঞ্জে চলতি বছরে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। তুলনামূলক সার ও কীটনাশক কম লাগায় দিন দিন বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার চাষীরা।
ভালো ফলন হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে বাদামের আবাদ। অনুকূল আবহাওয়া এবং কৃষি বিভাগের সময়োপযোগী পরামর্শের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। জেলায় ত্রিদানা, বারি, চীনাবাদাম, বিনা-৪, বিনা-৮সহ ঢাকা জাতের অন্তত ৮ জাতের বাদাম চাষ হয়েছে। বোরো ধানের পর বাদামের এই বাম্পার ফলন কৃষকদের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
জেলাজুড়ে একদিকে চলছে শেষ মুহূর্তের বোরো ধান কাটা অন্যদিকে চলছে জমি থেকে বাদাম উত্তোলনের কাজ। সবমিলিয়ে ব্যস্ত পার করছেন জেলার চাষীরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, বাদাম চাষে তুলনামূলক খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। জমিতে সামান্য চাষ দিয়ে বাদামের বীজ পুঁতে দিলেই হয়। বেলে দোআঁশ মাটি এবং উঁচু জমি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী। বাদাম চাষের পর মাঝে-মধ্যে পরিচর্যা এবং সামান্য ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে খরচ কম হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা বালু জমিতে বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বীজ বপন এবং পরিপক্ব বাদাম তোলার শ্রমিক খরচ ছাড়া তেমন কোনো অতিরিক্ত খরচ নেই বললেই চলে। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হওয়ায় তারা খুবই আনন্দিত।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ১ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩২০ কোটি টাকা।
জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে তাহিরপুরেই সবচেয়ে বেশি বাদামের চাষ হয়েছে। শুধুমাত্র তাহিরপুর উপজেলায় ১৪শ ২১ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে।
আর এই উপজেলায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগের আশা, চলতি মে মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই জেলার শতভাগ বাদাম তোলার কাজ সম্পন্ন হবে।
সরেজমিনে হাওরে গিয়ে দেখা যায়, অবসর সময়ে বাদাম ক্ষেত থেকে বাদাম তুলছেন বাড়ির গৃহিণীসহ তাদের ছেলে-মেয়েরা। মাঠের সবুজ পাতার মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশে নারী, পুরুষ ও শিশুরা বাদাম সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ বাদামের গাছ তুলছেন, আবার কেউ গাছ থেকে বাদাম আলাদা করছেন। অনেকেই নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে কিংবা বাড়তি আয়ের আশায় বাদাম তুলছেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রখর রোদেও ছাতা বা ত্রিপল টানিয়ে বাদাম তোলার কাজ চলছে।
শুক্রবার (২ মে) এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় তাহিরপুর উপজেলার মানিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল কাদিরের।
তিনি বলেন, এবছর আড়াই কিয়ার জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। বাদাম উত্তোলন করা শেষ। এখন বাদাম শুকাইতেছি। ফলন অনেক ভালো হইছে। এখন ভালো দামে বিক্রি করতে পারলেই আমরা খুশি।তিনি বলেন, ২-৩ বছর ধরে ২ কিয়ার কিংবা আড়াই কিয়ার জমিতে বাদাম করতেছি, আগামী বছর ৪-৫ কিয়ার জমিতে বাদাম চাষ করবো।
শিমুলতলা গ্রামের কৃষক ছামিউল ইসলাম জানান, বাদামের ফলন খুব ভালো হয়েছে। ভালো দামে বাদাম বিক্রি করতে পারলে বেশ লাভ হবে এবার। কৃষক আল-আমীন বলেন, গত বছর ফলন তেমন ভালো হয়নি। তবে এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। আমাদের এলাকার প্রায় সব কৃষকই ভালো ফলন পেয়েছেন। এভাবে ফলন হলে দিনদিন বাদাম চাষ করতে সবাই আগ্রহী হবেন।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাদাম চাষ হয়েছে তাহিরপুর উপজেলায়। এবছর তাহিরপুরে ১৪শ ২১ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন। তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের বাদাম চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করেছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, সুনামগঞ্জের মাটি বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আমরা কৃষকদের উন্নত মানের বীজ সরবরাহ করেছি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি। যার ফলস্বরূপ এ বছর বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। কম খরচ এবং বেশি লাভের সম্ভাবনা থাকায় কৃষকদের মধ্যে বাদাম চাষের আগ্রহ বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, বাদামের ভালো ফলন জেলার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। এবছর জেলায় বাদামের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩২০ কোটি টাকা।
সুনামগঞ্জে চলতি বছরে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। তুলনামূলক সার ও কীটনাশক কম লাগায় দিন দিন বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার চাষীরা।
ভালো ফলন হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে বাদামের আবাদ। অনুকূল আবহাওয়া এবং কৃষি বিভাগের সময়োপযোগী পরামর্শের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। জেলায় ত্রিদানা, বারি, চীনাবাদাম, বিনা-৪, বিনা-৮সহ ঢাকা জাতের অন্তত ৮ জাতের বাদাম চাষ হয়েছে। বোরো ধানের পর বাদামের এই বাম্পার ফলন কৃষকদের জন্য নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
জেলাজুড়ে একদিকে চলছে শেষ মুহূর্তের বোরো ধান কাটা অন্যদিকে চলছে জমি থেকে বাদাম উত্তোলনের কাজ। সবমিলিয়ে ব্যস্ত পার করছেন জেলার চাষীরা।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, বাদাম চাষে তুলনামূলক খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। জমিতে সামান্য চাষ দিয়ে বাদামের বীজ পুঁতে দিলেই হয়। বেলে দোআঁশ মাটি এবং উঁচু জমি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী। বাদাম চাষের পর মাঝে-মধ্যে পরিচর্যা এবং সামান্য ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে খরচ কম হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা বালু জমিতে বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বীজ বপন এবং পরিপক্ব বাদাম তোলার শ্রমিক খরচ ছাড়া তেমন কোনো অতিরিক্ত খরচ নেই বললেই চলে। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হওয়ায় তারা খুবই আনন্দিত।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ১ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩২০ কোটি টাকা।
জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে তাহিরপুরেই সবচেয়ে বেশি বাদামের চাষ হয়েছে। শুধুমাত্র তাহিরপুর উপজেলায় ১৪শ ২১ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে।
আর এই উপজেলায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগের আশা, চলতি মে মাসের ৩০ তারিখের মধ্যেই জেলার শতভাগ বাদাম তোলার কাজ সম্পন্ন হবে।
সরেজমিনে হাওরে গিয়ে দেখা যায়, অবসর সময়ে বাদাম ক্ষেত থেকে বাদাম তুলছেন বাড়ির গৃহিণীসহ তাদের ছেলে-মেয়েরা। মাঠের সবুজ পাতার মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশে নারী, পুরুষ ও শিশুরা বাদাম সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ বাদামের গাছ তুলছেন, আবার কেউ গাছ থেকে বাদাম আলাদা করছেন। অনেকেই নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে কিংবা বাড়তি আয়ের আশায় বাদাম তুলছেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রখর রোদেও ছাতা বা ত্রিপল টানিয়ে বাদাম তোলার কাজ চলছে।
শুক্রবার (২ মে) এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় তাহিরপুর উপজেলার মানিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল কাদিরের।
তিনি বলেন, এবছর আড়াই কিয়ার জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। বাদাম উত্তোলন করা শেষ। এখন বাদাম শুকাইতেছি। ফলন অনেক ভালো হইছে। এখন ভালো দামে বিক্রি করতে পারলেই আমরা খুশি।তিনি বলেন, ২-৩ বছর ধরে ২ কিয়ার কিংবা আড়াই কিয়ার জমিতে বাদাম করতেছি, আগামী বছর ৪-৫ কিয়ার জমিতে বাদাম চাষ করবো।
শিমুলতলা গ্রামের কৃষক ছামিউল ইসলাম জানান, বাদামের ফলন খুব ভালো হয়েছে। ভালো দামে বাদাম বিক্রি করতে পারলে বেশ লাভ হবে এবার। কৃষক আল-আমীন বলেন, গত বছর ফলন তেমন ভালো হয়নি। তবে এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। আমাদের এলাকার প্রায় সব কৃষকই ভালো ফলন পেয়েছেন। এভাবে ফলন হলে দিনদিন বাদাম চাষ করতে সবাই আগ্রহী হবেন।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাদাম চাষ হয়েছে তাহিরপুর উপজেলায়। এবছর তাহিরপুরে ১৪শ ২১ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন। তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের বাদাম চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করেছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, সুনামগঞ্জের মাটি বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আমরা কৃষকদের উন্নত মানের বীজ সরবরাহ করেছি এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি। যার ফলস্বরূপ এ বছর বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। কম খরচ এবং বেশি লাভের সম্ভাবনা থাকায় কৃষকদের মধ্যে বাদাম চাষের আগ্রহ বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, বাদামের ভালো ফলন জেলার অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। এবছর জেলায় বাদামের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩২০ কোটি টাকা।