
স্টাফ রিপোর্টার ::
শহর কুতুব হযরত ডংকা শাহ (রহ.) মাজার (মোকাম) ভাঙচুরের প্রতিবাদে এবং পুনঃনির্মাণ সংস্কার এবং ভাঙচুরে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাজার কমিটি ও ভক্তবৃন্দ। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবে মাজার কমিটির সভাপতি এনামুল হক এনামের সভাপতিত্বে ও হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিফা শাহ ফজলুর রহমান। বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম পার্টির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ স¤পাদক আবুল ফজল মো. মাসউদ, মাওলানা হিয়াতল হক, মুফতি শমসের আলী, আব্দুল গফফার।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, হযরত ডংকা শাহ (রহ.)-এর মোকামে যুগ যুগ ধরেই হাজার হাজার আশিকান ভক্তবৃন্দ আসা-যাওয়া করতেন এবং এখানে আল্লাহর ওলিসহ সকল মানুষের জন্য দোয়া চাওয়া হতো। এখানে কোন ধরনের শিরক কাজ হতো না। তবে একটি কুচক্রী মহল তাদের নিজস্ব ফায়দা আদায়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের পায়তারা করে আসছিল। সর্বশেষ কিছু লোকদের উস্কে দিয়ে তারা নিজেও মাজার ভাঙচুর করেছে। আজকে স্বাধীন বাংলাদেশে আল্লাহর ওলি-আউলিয়াদের মাজার যারা ভাঙচুর করেছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। এছাড়া এই মাজার অতি তাড়াতাড়ি সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় হাসন রাজার উত্তরসূরী আব্দুল গফফার বলেন, হাসন রাজার পুত্র আখলাকওর ওরফে দিলখুশ আলীর তিন সন্তান ছিল। শামছুজ্জোহা, বদরুজ্জোহা, নুরুজ্জোহা। আমার দাদা ছিলেন বড় (শামছুজ্জোহা)। আর আমার বাবা মরহুম আব্দুর রশিদ যিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন তিনি থাকাকালীন অবস্থায়ও এই মাজারের খেদমতসহ মাজার প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। আমাদের দাদার বাবাও এই আল্লাহর ওলিদের গুণগান ও সেবা যতœ করতেন বলে আমাদের জানাতেন পরিবারের লোকজন ও এলাকার পূর্বপুরুষেরা। এই জেলার স্থানীয় ময়-মুরুব্বিগণ শত শত বছর ধরে এই মাজারের খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। যারা মাজার ভাঙচুর করেছে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে তাদের শাস্তি দাবি করছি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাজার কমিটির সাংগঠনিক স¤পাদক মো. নূর হোসেন, খাদেম আছদ আলী, নেছার আহমদ সফিক, রাজু আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম, জেলার বিভিন্ন মাজারের খাদেম ফয়জুর রহমান, খাদেম জাকির হোসেন, খাদেম ইছাক আলী, মো. গোলাম মোস্তফা, সুমন মিয়া প্রমুখ।