
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ কমিউনিটি প্যারামেডিক যুব কল্যাণ সংগঠনের উদ্যোগে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ কমিউনিটি প্যারামেডিক যুব কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি এনামুল হক।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. যশোবন্ত ভট্টাচার্য।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জাফর ইকবাল চৌধুরী, ডা. অনিন্দ্য রায় অন্তু, স্যানক্রেড কমিউনিটি প্যারামেডিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল পলাশ চিছাম, আস্থা প্রকল্পের সমন্বয়ক ফিল্ড অপারেশন এ এস নূর আহমেদ, আনোয়ারা-মুজাহিদ কমিউনিটি প্যারামেডিক ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক উজ্জ্বল মিয়া।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক আল আমিন খন্দকার। অনুষ্ঠানে কমিউনিটি প্যারামেডিক সেবা বিষয়ে এবং স্বাবলম্বী হওয়ার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ কমিউনিটি প্যারামেডিক যুব কল্যাণ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মঞ্জুর আলী।
সভায় কমিউনিটি প্যারামেডিকদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে ভিডিও চিত্রসহ উপস্থাপন করেন ডা. সৈকত দাস। পরে কমিউনিটি প্যারামেডিকদের মধ্যে কীট বক্স বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে অতিথি এবং সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। তারা হলেন, সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শুকদেব সাহা, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহনুর আলম, জেলা ঔষধ প্রশাসনের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মিঠুন সাহা, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আইনুল ইসলাম ভূঁইয়া, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আবুল হাসান, স্যানক্রেড কমিউনিটি প্যারামেডিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল পলাশ চিছাম, আনোয়ারা-মুজাহিদ কমিউনিটি প্যারামেডিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল রেজওয়ানা জান্নাত হীরা, আস্থা প্রকল্পের ফিল্ড অপারেশন কো-অর্ডিনেটর এ এস নূর আহমেদ, সুনামগঞ্জ কমিউনিটি প্যারামেডিক যুব কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি এনামুল হক এবং সাধারণ স¤পাদক মো. মঞ্জুর আলী।
সভায় বক্তারা বলেন, দুঃসময়ে দুর্গম এলাকায় প্যারামেডিকেরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। তবে সীমাবদ্ধতায় থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে রোগীকে সরকারি হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন। তারা বলেন, প্যারামেডিকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ইন্টার্নি করার সুযোগ রয়েছে। দুর্গম এলাকায় হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা নেন অসচেতন দরিদ্র রোগীরা। এটা খেয়াল রাখতে হবে সকলকে। তৃণমূল পর্যায়ে প্যারামেডিকেরা সেবা প্রদানের পরামর্শ দেন বক্তারা।