
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজার উপজেলায় শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব হয়েছে। আধ-ঘণ্টাব্যাপী চলা এই ঝড়ে প্রচুর গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে। এতে উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং উঠতি বোরো ফসল ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক পরিবারের লোকজন এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। মধ্যরাতে হঠাৎ চারিদিক থেকে চিৎকারের আওয়াজ শোনা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে বসতঘরের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় অনেকে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটিয়েছেন। আসবাবপত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঝড়োবাতাসে উড়ে গেছে।
অন্যদিকে মধ্যে রাতে আকস্মিক ঝড়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া, পরমেশ্বরীপুর, দলেরগাঁও, বাতলারটেক, বীরসিংহ, রাখালকান্দি, টেবলাই, মাইজখলা, বড়বন্দসহ উপজেলার সুরমা, লক্ষ্মীপুর, নরসিংপুর, বোগলাবাজার, বাংলাবাজার, মান্নারগাঁও, দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও সবগুলো ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে কাঁচা ও টিনের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া গ্রামে প্রচুর বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রামে প্রচুর গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে এবং বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় ঝড় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকা। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকা বোরো ফসলের। লামাসানিয়া (উত্তর পাড়া) গ্রামের আজিজুর রহমান বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় এসে বসত ঘরের টিনের চাল উড়িয়ে নেয়। ঝড়োবৃষ্টির মধ্যেই অন্যের ঘরে উঠে কোন রকম প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। সবকিছুই তছনছ হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে কোথায় যাবো বলতে পারছি না। একই গ্রামের শানুর মিয়া স্ত্রী সামসুন নাহার বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ তুফানে আমার বসতঘরের বারান্দা মুহূর্তেই ঝড়োবাতাসে উড়ে যায়। ছেলে মেয়ে নিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে কোন রকম উঠতে পেরেছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লামাসানিয়া (উত্তরপাড়া) গ্রামের হাফিজ মিয়া, আব্দুল হান্নান, জাকির মিয়া, জামির মিয়া, ইনসান মিয়া লামাসানিয়া (মধ্যপাড়া) হোসেন মিয়া, রবিউল, আফিল উদ্দীন, সাফির উদ্দিন, সংবাদকর্মী মামুন মুন্সী’র বসত ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। নরসিংপুর ইউনিয়নের সানিয়া, লাস্তবের গাঁও, মুকির গাঁও, প্রতাবের গাঁও, দোয়ারগাঁও, ফুলকারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সানিয়া গ্রামের আলাল মিয়া, জসিম, মাসুক মিয়ার ঘর স¤পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ে সবকিছু হারিয়ে এখন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে মাতম চলছে। লামাসানিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক হবিবুর রহমান, কাসেম মিয়া, রফিকুল মিয়া, সুজন মিয়া, শুক্কুর আলী জানিয়েছেন, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে।
ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বলেছেন, ঝড়ে লামাসানিয়া গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেক পরিবার এখন খোলা আকাশের নীচে। মাথাগোঁজার ঠাঁই নেই অনেকের। এ দিকে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর, আলীপুর, সোনাপুর, বৈঠাখাই, টেংরাটিলা, আজবপুর, শান্তিপুর, মহব্বতপুর, গোজাউড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে সুরমা ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ২০/২৫ টি বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ফসলের।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু বলেছেন, মধ্যরাতে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব হয়েছে। আধ-ঘণ্টাব্যাপী চলা এই ঝড়ে প্রচুর গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে। এতে উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং উঠতি বোরো ফসল ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক পরিবারের লোকজন এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। মধ্যরাতে হঠাৎ চারিদিক থেকে চিৎকারের আওয়াজ শোনা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে বসতঘরের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় অনেকে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটিয়েছেন। আসবাবপত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঝড়োবাতাসে উড়ে গেছে।
অন্যদিকে মধ্যে রাতে আকস্মিক ঝড়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া, পরমেশ্বরীপুর, দলেরগাঁও, বাতলারটেক, বীরসিংহ, রাখালকান্দি, টেবলাই, মাইজখলা, বড়বন্দসহ উপজেলার সুরমা, লক্ষ্মীপুর, নরসিংপুর, বোগলাবাজার, বাংলাবাজার, মান্নারগাঁও, দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও সবগুলো ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে কাঁচা ও টিনের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া গ্রামে প্রচুর বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রামে প্রচুর গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে এবং বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় ঝড় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকা। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাকা বোরো ফসলের। লামাসানিয়া (উত্তর পাড়া) গ্রামের আজিজুর রহমান বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় এসে বসত ঘরের টিনের চাল উড়িয়ে নেয়। ঝড়োবৃষ্টির মধ্যেই অন্যের ঘরে উঠে কোন রকম প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। সবকিছুই তছনছ হয়ে গেছে। পরিবার নিয়ে কোথায় যাবো বলতে পারছি না। একই গ্রামের শানুর মিয়া স্ত্রী সামসুন নাহার বলেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ তুফানে আমার বসতঘরের বারান্দা মুহূর্তেই ঝড়োবাতাসে উড়ে যায়। ছেলে মেয়ে নিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে কোন রকম উঠতে পেরেছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লামাসানিয়া (উত্তরপাড়া) গ্রামের হাফিজ মিয়া, আব্দুল হান্নান, জাকির মিয়া, জামির মিয়া, ইনসান মিয়া লামাসানিয়া (মধ্যপাড়া) হোসেন মিয়া, রবিউল, আফিল উদ্দীন, সাফির উদ্দিন, সংবাদকর্মী মামুন মুন্সী’র বসত ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। নরসিংপুর ইউনিয়নের সানিয়া, লাস্তবের গাঁও, মুকির গাঁও, প্রতাবের গাঁও, দোয়ারগাঁও, ফুলকারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সানিয়া গ্রামের আলাল মিয়া, জসিম, মাসুক মিয়ার ঘর স¤পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ে সবকিছু হারিয়ে এখন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে মাতম চলছে। লামাসানিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের কৃষক হবিবুর রহমান, কাসেম মিয়া, রফিকুল মিয়া, সুজন মিয়া, শুক্কুর আলী জানিয়েছেন, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে।
ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বলেছেন, ঝড়ে লামাসানিয়া গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেক পরিবার এখন খোলা আকাশের নীচে। মাথাগোঁজার ঠাঁই নেই অনেকের। এ দিকে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর, আলীপুর, সোনাপুর, বৈঠাখাই, টেংরাটিলা, আজবপুর, শান্তিপুর, মহব্বতপুর, গোজাউড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে সুরমা ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ২০/২৫ টি বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ফসলের।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু বলেছেন, মধ্যরাতে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।