
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখন্ড গাজার ৯০ শতাংশ বাড়িই হয় ধ্বংস হয়েছে, নয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত, গাজায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণেই, এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় দপ্তর-ওসিএইচএ এর তথ্যের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় ৯০ শতাংশের বেশি বাড়ি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় দপ্তরের তথ্য উদ্ধৃত করে গত বুধবার এ কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা। ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন গাজার বেসামরিক নাগরিকদের আরও গভীর মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
আইওএম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজেদের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে বলেছে, গাজাবাসীর ‘যাওয়ার মতো কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। পরিবারগুলো অনিরাপদ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আশ্রয় নিচ্ছে।’
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তাদের কাছে আশ্রয় সামগ্রী প্রস্তুত। এখন ইসরায়েল গাজায় প্রবেশপথগুলো এখনই খুলে দিলেই সেগুলো স্থানীয়দের কাছে পৌঁছানো হবে। সংস্থাটি অবিলম্বে এসব প্রবেশপথ খুলে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।
গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার সকল প্রবেশপথ বন্ধ করে রেখেছে। এতে সেখানে জরুরি ত্রাণ সরবরাহ ঢুকতে পারছে না। যুদ্ধের কারণে বিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের একাধিক খবর পাওয়া গেছে। এরপর, গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় আবারও হামলা শুরু করেছে। ফলে গত ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি দুই মাস টিকে থাকার পর ভেস্তে গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল এই অঞ্চলে ৫১ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গাজায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে।