
আব্দুল্লাহ আল মামুন ::
জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার বাস করেন।
এখানে বিশুদ্ধ পানির জন্য নেই কোনো টিউবওয়েল। মানুষ বাধ্য হয়ে পুকুর, খাল-বিল ডোবা কিংবা কাছাকাছি গ্রামের টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করে আসছেন প্রায় তিন বছর যাবৎ। অনেক সময় বিশুদ্ধ পানি পান না করার কারণে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। তখন অনেকেই ডায়রিয়া, জন্ডিস, আমাশয়সহ নানা রোগে আক্রান্ত হন গ্রামের বাসিন্দারা।
নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়। এক কলস বিশুদ্ধ পানির জন্য পায়ে হেঁটে এক কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ফাজিলপুর ও শুকদেবপুর যেতে হয়। সেখানেও গিয়ে লম্বা লাইন। কখনও আবার বিশুদ্ধ পানির অভাবে নদীর উপরেই ভরসা করতে হয়।
রান্না-বান্না, নাওয়া-খাওয়ার জন্য নদীর পানিই একমাত্র ভরসা তাদের। সকালে উঠে দীর্ঘ পথ হেঁটে পানি আনতে হয়। এতে সময় ও শ্রম দুই-ই নষ্ট হয়, পাশাপাশি স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাও ব্যাহত হয়।
সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন, তাদের গ্রামে অতিদ্রুত টিউবওয়েল স্থাপন করে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার। অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বসবাস করছেন তারা। নেই স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিন।
আধুনিক সভ্যতার বিন্দুমাত্র ছোঁয়া লাগেনি এ পল্লীতে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না।
ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের সত্যজিৎ দাস, পানো কুমার দাসসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, দূর-দূরান্ত থেকে পানি আনতে নারীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। মাঝে মাঝে বখাটেদের উৎপাতের শিকারও হতে হয়। যদিও আমরা বাড়ির পুরুষরা পানি আনতে সহযোগিতা করি। কিন্তু আমরা বাড়িতে সবসময় তো থাকিনা।
গীতা রানী দাস বলেন, এক কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ফাজিলপুর থেকে একটি টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গেলেও সেখানে লম্বা লাইন থাকে। এতে করে প্রতিনিয়ত আমরা বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভোগছি। আমাদের গ্রামে কবে যে একটা কল (টিউবওয়েল) হইবো আমরা শান্তি মতে পানি খাইতে পারমু।
সরকারের নিকট আমাদের দাবি গ্রামে যেন কলের (টিউবওয়েল) ব্যবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া জানান, আমার ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের এই সমস্যাটি আমাকে গত একমাস আগে অবগত করেছেন। আমি সরজমিনে গিয়ে দেখেছি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামার কারণে কোনো টিউবওয়েলে পানি আসে না। তাই আমি দুটি সাবমারসিবল টিউবওয়েল বরাদ্দ দিয়েছি। প্রকল্পের ঠিকাদারের শ্রমিক সংকটের কারণে কাজটি পিছিয়ে আছে। তবে অল্প কিছুদিনের ভিতরেই টিউবওয়েল দুটি স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি এই গ্রামে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন দেওয়ার জন্য প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা রামকুমার সাহা জানান, ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে দুটি সাবমারসিবল টিউবওয়েল বরাদ্দ হয়েছে। বৈশাখ মাসের কারণে সবাই ধান তুলতে ব্যস্ত। টিউবওয়েলের কাজের জন্য লোক সংকট থাকায় দেরি হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি অতি দ্রুত এই গ্রামে দুটি টিউবওয়েল স্থাপন করার।
জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজার ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার বাস করেন।
এখানে বিশুদ্ধ পানির জন্য নেই কোনো টিউবওয়েল। মানুষ বাধ্য হয়ে পুকুর, খাল-বিল ডোবা কিংবা কাছাকাছি গ্রামের টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করে আসছেন প্রায় তিন বছর যাবৎ। অনেক সময় বিশুদ্ধ পানি পান না করার কারণে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। তখন অনেকেই ডায়রিয়া, জন্ডিস, আমাশয়সহ নানা রোগে আক্রান্ত হন গ্রামের বাসিন্দারা।
নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়। এক কলস বিশুদ্ধ পানির জন্য পায়ে হেঁটে এক কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ফাজিলপুর ও শুকদেবপুর যেতে হয়। সেখানেও গিয়ে লম্বা লাইন। কখনও আবার বিশুদ্ধ পানির অভাবে নদীর উপরেই ভরসা করতে হয়।
রান্না-বান্না, নাওয়া-খাওয়ার জন্য নদীর পানিই একমাত্র ভরসা তাদের। সকালে উঠে দীর্ঘ পথ হেঁটে পানি আনতে হয়। এতে সময় ও শ্রম দুই-ই নষ্ট হয়, পাশাপাশি স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাও ব্যাহত হয়।
সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন, তাদের গ্রামে অতিদ্রুত টিউবওয়েল স্থাপন করে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার। অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে বসবাস করছেন তারা। নেই স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিন।
আধুনিক সভ্যতার বিন্দুমাত্র ছোঁয়া লাগেনি এ পল্লীতে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না।
ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের সত্যজিৎ দাস, পানো কুমার দাসসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, দূর-দূরান্ত থেকে পানি আনতে নারীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। মাঝে মাঝে বখাটেদের উৎপাতের শিকারও হতে হয়। যদিও আমরা বাড়ির পুরুষরা পানি আনতে সহযোগিতা করি। কিন্তু আমরা বাড়িতে সবসময় তো থাকিনা।
গীতা রানী দাস বলেন, এক কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ফাজিলপুর থেকে একটি টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গেলেও সেখানে লম্বা লাইন থাকে। এতে করে প্রতিনিয়ত আমরা বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভোগছি। আমাদের গ্রামে কবে যে একটা কল (টিউবওয়েল) হইবো আমরা শান্তি মতে পানি খাইতে পারমু।
সরকারের নিকট আমাদের দাবি গ্রামে যেন কলের (টিউবওয়েল) ব্যবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া জানান, আমার ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের এই সমস্যাটি আমাকে গত একমাস আগে অবগত করেছেন। আমি সরজমিনে গিয়ে দেখেছি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামার কারণে কোনো টিউবওয়েলে পানি আসে না। তাই আমি দুটি সাবমারসিবল টিউবওয়েল বরাদ্দ দিয়েছি। প্রকল্পের ঠিকাদারের শ্রমিক সংকটের কারণে কাজটি পিছিয়ে আছে। তবে অল্প কিছুদিনের ভিতরেই টিউবওয়েল দুটি স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি এই গ্রামে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন দেওয়ার জন্য প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা রামকুমার সাহা জানান, ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে দুটি সাবমারসিবল টিউবওয়েল বরাদ্দ হয়েছে। বৈশাখ মাসের কারণে সবাই ধান তুলতে ব্যস্ত। টিউবওয়েলের কাজের জন্য লোক সংকট থাকায় দেরি হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি অতি দ্রুত এই গ্রামে দুটি টিউবওয়েল স্থাপন করার।