
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের পাথারিয়া বাজারে প্রভাবশালীদের বাধায় শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দাদের ১০টি দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের আলতাফ হোসেন, হিরন মিয়া, সামছু মেম্বার, সাইদুর রহমান, ফারুক মিয়াসহ পাথারিয়া বাজারে শ্যামনগর গ্রামের ১০ ব্যবসায়ী এবং শ্যামনগর গ্রামের প্রায় শতাধিক লোকজন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানাযায়, গত রমজান মাসে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাঠদান করা থেকে বিরত রাখেন। পরে শ্যামনগর গ্রামবাসীরাও শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে এবং ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ের পাঠদানে বারণ করেন। একারণে ওই শিক্ষক তার গাজীনগর গ্রামের বাসিন্দা আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনসহ গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পাথারিয়া বাজারে ব্যবসায়ী ও শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদ, আরব আলী, রাশেদ মিয়া, মসলা ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া, ভেরাইটিজ দোকান ব্যবসায়ী শাহ জাহান মিয়া, কাঁচামাল ব্যবসায়ী সুজাত মিয়া, সুমিন মিয়া, গ্রোসারি ব্যবসায়ী আব্দুল হাসিম, হোটেল ব্যসায়ী কাসেম মিয়ার দোকানসহ ১০টি দোকান বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে শ্যামনগর গ্রামের সাধারণ লোকজনদেরকেও পাথারিয়া বাজারে বাজার-সদাই করা থেকে বিরত থাকতে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
পাথারিয়া বাজারের ব্যসায়ী ও শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, আমাদের গ্রামের ব্যবসায়ীদের দোকান খোলে ব্যবসা-বাণিজ্য করে দিয়েছে গাজীনগর গ্রামের প্রভাবশালীরা। এতে আমাদের ব্যবসায়ীদের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পাশপাশি আমাদের প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে পাথারিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গাজীনগর গ্রামের মৃত হাজী লাল মিয়ার ছেলে মোস্তফা মিয়া বলেন, ওই মাস্টারকে নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা স¤পূর্ণ মিথ্যা। ওই শিক্ষককে তার বিদ্যালয়ে যেতে শ্যানগর গ্রামের লোকজন বাধা দিয়েছে। ওই শিক্ষক গাজীনগর গ্রামে এসে বিষয়টি জানায় এবং তার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে বৈঠকে বসে। বৈঠকের খবর পেয়ে শ্যামনগর গ্রামের পাথারিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। আমাদের লোকজন কেউ তাদের দোকানপাট বন্ধ করেনি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুকান্ত সাহা লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের আলোকে দুইপক্ষকে মঙ্গলবার শুনানীর জন্য উপজেলায় নিয়ে আসবো। পরবর্তীতে দুইপক্ষের কথাবার্তা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।