
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট-পূর্বইব্রাহীমপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণে সুরমা নদীর তীরে সরকারি ভূমি প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। সোমবার দুপুরে লঞ্চঘাটের খেয়াঘাট এলাকা সরেজমিন তদন্ত শেষে গ্রামবাসীকে তিনি এই আশ্বাস দেন।
সরেজমিন তদন্তের সময় শহরতলির পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের বাসিন্দার পক্ষে অনেকেই যাত্রী ছাউনির গুরুত্ব এবং বছরের পর বছর নানা ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। এ সময় গ্রামের বাসিন্দাদের আশ্বাস দিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আপনারা এই সমস্যায় ভুগছেন, আগে জানালে এটার সমাধান হয়ে যেতো। এখন আমি এক সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ভূমির ব্যবস্থা করে দেবো। আপনারা পৌরসভার কাছে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চাইবেন। এমন আশ্বাসে সন্তোষ প্রকাশ করেন গ্রামবাসী।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের লঞ্চঘাট-পূর্বইব্রাহীমপুর আসা-যাওয়ার খেয়াঘাটের পূর্বদিকে সুরমা নদীরপাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের দাবি জানিয়ে গত ৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক বরাবরে ৩ শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দার নাম, ঠিকানা ও স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন দেয়া হয়।
ওইদিন জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)কে নির্দেশ দেন। পরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সোমবার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বদলি হওয়ার কারণে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও অতীশ দর্শী চাকমা সরেজমিনে আসেন।
শহরের লঞ্চঘাট-পূর্ব ইব্রাহীমপুর খেয়াঘাটের সরকারী ১নং খতিয়ানের জায়গার বিষয়ে তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমান, কাননগো মো. রুহুল আমিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুরমা ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক আকরাম উদ্দিন, আব্দুস শহীদ, পূর্ব ইব্রাহীমপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজী মো. আবিদুর রহমান, সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, গণ্যমান্য ব্যক্তি জগলুল আলম, স্থানীয় ব্যবসায়ী নিজামুল হক, হুমায়ূন কবির, রেনু মিয়া, আক্কাছ আলী, শাহীন মিয়া, আব্দুল করিম বাবুল, দেলোয়ার হোসেন, বাবু মিয়া, রাজা মিয়া প্রমুখ।