
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত ওয়ার্ড সুবিধা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল চালুর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করার এক ঘণ্টা পর ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী গিয়ে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়।
দাবি পূরণ না হওয়ায় মেডিকেল কলেজের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় সড়কের দুপাশে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে অবরোধ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সেনা ক্যা¤েপর মেজর মেজবাহ জানান, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধের ফলে দুই পাশে অনেক যানবাহন আটকা পড়ে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
অপরদিকে, সড়ক থেকে সরে গিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় সেনাবাহিনীর লাঠির আঘাতে শিক্ষার্থীদের অনেকেই আহত হয়েছেন। তারা এই ঘটনার বিচার দাবি করেন।
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাইদুল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু সেনাবাহিনী এসে আমাদের উপর লাঠিচার্র্জ করে। আমরা আমাদের দাবি আদায়ে অনড় রয়েছি। আমরা এই হামলার বিচার চাই।
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ ভুইঞা বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের ওয়ার্ড ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তারা ক্লাসে ফিরছে না। তারা শিক্ষকদের কথা না মেনে রাস্তায় নেমে আসছে। আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কিন্তু এখনো শিক্ষার্থীদের কন্ট্রলে আনা সম্ভব হচ্ছে না। সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে আমার কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
এর আগে ১৫ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করে মানববন্ধন ও পরের দিন সড়ক অবরোধ করে টানা ৪ দিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।