
স্টাফ রিপোর্টার ::
সড়কে ব্যবহৃত নিম্নমানের পুরাতন ইট তুলে পাথরের বিকল্প হিসেবে এই ইট ভেঙে সুরকি ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রেন নির্মাণকাজে। দিনে-দুপুরে এমন অনিয়ম হলেও এটি দেখার যেন কেউ নেই। সুনামগঞ্জ পৌরভার উকিলপাড়ায় ড্রেন নির্মাণকাজে এমন অনিয়মের চিত্র দেখা দেখা গেছে।
জানাযায়, সুনামগঞ্জ পৌরসভার উকিলপাড়া এলাকার দক্ষিণ দিকের পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় সরকারের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণ করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটির কাজ করছে নুরুল ইসলাম এন্টারপ্রাইজ নামের স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ড্রেন নির্মাণকাজের শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠে নানা অভিযোগ। ড্রেনের ঢালাইয়ে নি¤œমানের বালি ব্যবহার, ব্যবহৃত পুরাতন ইটের ভাঙ্গাসহ ঢিমেতালে কাজ করার অভিযোগ উঠে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, এতোদিন ড্রেন না থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ড্রেন নির্মাণকাজ হলেও কাজের মান নিয়ে অসন্তুষ্ট তারা। এই কাজ কিছুদিন পর নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে ব্যবহৃত ইট উত্তোলন করে জমা করে রাখছেন শ্রমিকরা। পুরাতন ইট পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের গোপন স্থানে ভাঙা হচ্ছে। এসব ইটের সুরকি পাথরের বিকল্প হিসেবে ড্রেনের ঢালাইয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে এক নির্মাণ শ্রমিক জানান, মাটির নিচ থেকে যে ইট তোলা হচ্ছে তা ভেঙে ড্রেনের কাজে ব্যবহার করছি আমরা। এটি আমাদের ঠিকাদার বলে দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হাসান আতাহের বলেন, আমরা নিজেরাও দেখেছি তারা নি¤œমানের ইটের ভাঙা ড্রেনের কাজে ব্যবহার করছেন। স্থানীয়রা বাধা দিলেও কাজ হচ্ছে না। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে পৌরসভা এই কাজটি করে দিচ্ছেন। কিন্তু ঠিকাদার যেভাবে কাজ করছে তাতে আমরা হতাশ।
ড্রেনের কাজের ব্যবহৃত নিম্নমানের ইটের ভাঙা ব্যবহারের ব্যাপারে নুরুল ইসলাম এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার তানভীর বলেন, পুরাতন ইট ব্যবহার করছি না। যেসব ইট ভাঙা হয়েছে তা আমার বাসায় বস্তা দিয়ে নিয়ে যাবো। আপনার সাথে সরাসরি কথা বলবো - এই বলে ফোনকল কেটে দেন।
এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।