
স্টাফ রিপোর্টার ::
গত ১৬ এপ্রিল বুধবার জনতা চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি’র অর্থায়নে সুনামগঞ্জ শহরের সুনামগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। উক্ত ক্যাম্পে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মোট ৯৮ জন চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় এবং এদের মধ্যে বাছাইকৃত ৩৯ জন অসচ্ছল দরিদ্র ছানি রোগীকে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। জনতা চক্ষু হাসপাতালের অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন উন্নত প্রযুক্তিতে কৃত্রিম লেন্স সংযোজনের মাধ্যমে সফলভাবে রোগীদের অপারেশন সম্পন্ন করার পর সকল রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন। উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা পেয়ে রোগী ও রোগীর অভিভাবক সকলেই জনতা চক্ষু হাসপাতাল এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অপারেশনকৃত রোগীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি, সুনামগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ গোলাম আজাদ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মানব সেবাই উত্তম সেবা। তাই মানুষের সেবা করার জন্যই আমরা এই দৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, সুনামগঞ্জের কৃতী সন্তান ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শ্রদ্ধেয় এমডি ও সিইও আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডাব্-বাংলা ব্যাংকের অর্থায়নে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার সকল এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন হচ্ছে। এছাড়াও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডি স্যারের এই যুগান্তকারী অবদান, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী ও অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই কাজের বিনিময়ে আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নাই। আপনারা শুধু ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এবং আমাদের এমডি স্যারের জন্য দোয়া করবেন। কারণ মানুষের দোয়া অনেক শক্তিশালী। আমি মনে করি আপনাদের দোয়ার মাধ্যমেই সবকিছু আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌছানো সম্ভব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জনতা চক্ষু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মশিউর রহমান এবং ডাইরেক্টর (এফএন্ডএ) শ্যামল চন্দ্র তালুকদার।
উপস্থিত সকলেই, জনতা চক্ষু হাসপাতাল ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি’র এই মহতী কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।