
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় যে, সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কসহ জেলার অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সড়কে ২৫টির মতো বেইলি সেতু রয়েছে, এর মধ্যে ৭টি সেতু মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
একদা দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের সময় জরুরি যোগাযোগ ও যুদ্ধসরঞ্জাম পরিবহণের জন্য ১৯৪০-৪১ সালের দিকে প্রয়োজনে সহজেই অপসারণ করে নিয়ে অন্যত্র স্থাপন করার যোগ্য বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয় এবং বিশে^র বিভিন্ন স্থানে এখনও এই সেতুগুলো প্রকারান্তরে সাময়িক প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্যে নির্মাণ করা হয়ে থাকে এবং আমাদের দেশেও এগুলোর প্রয়োজনীয়তা একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেছে বলা যাবে না। কিন্তু আমাদের দেশে বিভিন্ন কারণে এই সাময়িক প্রয়োজনে তৈরি করা বেইলি সেতুগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়ে যান ও যাত্রীদের জন্যে প্রকারান্তরে বিভিন্ন সমস্যা-বিপদ-দুর্ঘটনার উৎস হয়ে উঠে। বেইলি সেতু সম্পর্কে প্রতিবেদকের ভাষ্য প্রণিধানযোগ্য, তিনি বলেছেন : “দীর্ঘদিন এই সেতু অধিকতর ঝুঁকিতে থাকায় ভারী যানবাহন উঠলে ধসে পড়ার শঙ্কায় থাকতে হয়। এছাড়া প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত পাটাতনে যানবাহনের চাকা আটকে বিপত্তি দেখা দেয়। এমনকি বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ। ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর পাশেই বৃহৎ বাজেটের একটি সেতু নির্মাণাধীন থাকলেও এর নির্মাণকাজের গতি মন্থর।”
আমরা বেইলি সেতু তৈরির বিপক্ষে নই। অবশ্যই প্রয়োজনীয় সুবিধা পাওয়ার জন্যে আমরা বেইলি সেতু নির্মাণ করবো, কিন্তু সেতুগুলোকে যোগাযোগকে বিপদাপন্ন করে তুলার উপকরণ কিংবা উৎস করে তুলবো না।
কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দাবি করছি, অচিরেই জেলার সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে যেসব বেইলি সেতু সেগুলোকে অপসারণ করা ও তৎপরবর্তী প্রয়োজনীয় নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করা হোক।