
স্টাফ রিপোর্টার ::
জীবাশ্ম জ্বালানি পরিহার করে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগের দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে হাউস, ক্লিন, বিডব্লিওজিইডির উদ্যোগে শহরের হোসেন বখত চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। বাঁশখালী আন্দোলনের স্মরণে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, শিক্ষার্থী ও পরিবেশবাদী কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেড সিলেট এর সহ সভাপতি মোদাচ্ছির আলম, আবুল হোসেন, ফেড সিলেট এর সাধারণ স¤পাদক একে কুদরত পাশা, নূরুল হাসান আতাহের, স্বপ্ননীল মহিলা সংঘের সভাপতি মাহিন চৌধুরী, অনির্বাণ মহিলা সংঘের সভাপতি শিল্পী বেগম, ফারুক আহমদ, কর্ণ বাবু দাস প্রমুখ।
অংশগ্রহণকারীরা ‘জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মুক্তি, টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি’ স্লোগান ব্যবহার করেন এবং নীতি-নির্ধারকদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার ফলে পরিবেশ ও অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তারা জোর দিয়ে বলেন যে বাংলাদেশের সৌর ও বায়ু শক্তির বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব, বিশেষ করে প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ অঞ্চলে।
হাউস-এর নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ বলেন, আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে একটি ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই জ্বালানি ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়। নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ শুধু একটি বিকল্প নয় - এটি অত্যাবশ্যক। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করতে গিয়ে কৃষিজমি ও কবরস্থান রক্ষার দাবিতে যেসব মানুষ জীবন দিয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের স্মরণে আজকের কর্মসূচি ছিল এক প্রতিজ্ঞা- “উন্নয়নের নামে আর যেন সাধারণ জনগণের প্রাণ না ঝরে।”
মানববন্ধনের শেষে আয়োজকরা তাদের আন্দোলনকে আরও বেগবান করার প্রতিশ্রুতি দেন, যাতে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির পক্ষে দেশব্যাপী গণসচেতনতা বাড়ানো যায়।