
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা রিয়াজুল ইসলাম রাইজুল (৭৪) গ্রেপ্তারের পর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত বুধবার রাতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। রিয়াজুল ইসলামের মৃত্যুর তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাতিজা আবু বক্কর। তিনি জানান, বুধবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের সময় রিয়াজুল ইসলামের মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া, কারাধ্যক্ষ আবু সালাম তালুকদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে কেউই ফোন ধরেননি। শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম আলী জানান, থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা একটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে রিয়াজুল ইসলামকে গত ৩০ মার্চ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে হাজির করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর কোনো খবর জানেন না বলেন জানান তিনি। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম উপজেলার বীরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। দীর্ঘদিন বেলজিয়ামে ছিলেন। তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়ের সবাই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভাতিজা আবু বক্কর বলেন, তাঁর চাচার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। কারও সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধও ছিল না। তিনি বাড়িতেই থাকতেন। ঈদের আগের দিন ইফতারের মিনিট দশেক আগে তাঁকে বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আবু বক্কর বলেন, তখনো তিনি (রিয়াজুল) অসুস্থ ছিলেন। তিনি ২২টি ওষুধ সেবন করেন। পুলিশকে সব দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পুলিশ তাঁকে আদালতে পাঠানের কাগজেও (চালান) তাঁর এসব অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছে। আবু বক্কর জানান, ৪ এপ্রিল তাঁরা জানতে পারেন, কারাগারে তিনি গুরুতর অসুস্থ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ঈদের পরদিন ঘটনা হলেও কারাগার থেকে জানানো হয়েছে তিন দিন পর। এরপর অবস্থার অবনতি হলে কারাগার থেকে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। এরপর গত বুধবার রাতে তিনি মারা গেলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে আবু বক্কর বলেন, পুলিশ নিরপরাধ, অসুস্থ মানুষটাকে কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করেছে। এরপর হাসপাতালে আমরা বারবার বলেছি, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য, আমাদের সব সামর্থ্য আছে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি। -প্রথম আলো
শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা রিয়াজুল ইসলাম রাইজুল (৭৪) গ্রেপ্তারের পর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত বুধবার রাতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। রিয়াজুল ইসলামের মৃত্যুর তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ভাতিজা আবু বক্কর। তিনি জানান, বুধবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের সময় রিয়াজুল ইসলামের মৃত্যু হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া, কারাধ্যক্ষ আবু সালাম তালুকদারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে কেউই ফোন ধরেননি। শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম আলী জানান, থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা একটি মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে রিয়াজুল ইসলামকে গত ৩০ মার্চ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে হাজির করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর কোনো খবর জানেন না বলেন জানান তিনি। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রিয়াজুল ইসলাম উপজেলার বীরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। দীর্ঘদিন বেলজিয়ামে ছিলেন। তাঁর তিন ছেলে ও দুই মেয়ের সবাই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভাতিজা আবু বক্কর বলেন, তাঁর চাচার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। কারও সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধও ছিল না। তিনি বাড়িতেই থাকতেন। ঈদের আগের দিন ইফতারের মিনিট দশেক আগে তাঁকে বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আবু বক্কর বলেন, তখনো তিনি (রিয়াজুল) অসুস্থ ছিলেন। তিনি ২২টি ওষুধ সেবন করেন। পুলিশকে সব দেখিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পুলিশ তাঁকে আদালতে পাঠানের কাগজেও (চালান) তাঁর এসব অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছে। আবু বক্কর জানান, ৪ এপ্রিল তাঁরা জানতে পারেন, কারাগারে তিনি গুরুতর অসুস্থ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ঈদের পরদিন ঘটনা হলেও কারাগার থেকে জানানো হয়েছে তিন দিন পর। এরপর অবস্থার অবনতি হলে কারাগার থেকে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। এরপর গত বুধবার রাতে তিনি মারা গেলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে আবু বক্কর বলেন, পুলিশ নিরপরাধ, অসুস্থ মানুষটাকে কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করেছে। এরপর হাসপাতালে আমরা বারবার বলেছি, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য, আমাদের সব সামর্থ্য আছে। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনি। -প্রথম আলো