দিরাই প্রতিনিধি ::
দিরাইয়ে সরকারি খাস জায়গা দখল নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হারুন মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের শতাধিক লোক। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে স্থানীয় বাংলাবাজারেও দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় অন্তত ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর গ্রামের লোকজন নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী বহুমুখী সমিতির নাম দিয়ে বর্ষার শুরুতে খাসজমিতে বাঁশ কাঠা ফেলে রাখে দখলের চেষ্টা করেন। অপরপক্ষ সাবেক চেয়ারম্যান রেজুয়ান হোসেন খান রফিনগর ও মাছিমপুর গ্রামের লোকজন নিয়ে চতুর্মূখী সমিতির নামে উক্ত জায়গায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি ভরাট করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সুনামপুর মৌজায় কিত্তাগাঁও এবং সুনামপুর গ্রামের ভূমিহীনরা সরকারের জায়গা বন্দোবস্ত পেলেও তারা দখলে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ আছে। কিছুসংখ্যক ভূমিহীনের কাছ থেকে রেজওয়ান খান ওই বিরোধীয় জায়গা ক্রয় করেন বলে জানান এলাকাবাসী।
রেজওয়ান হোসেন খান জানান, বাজার বর্ধিত করণে এলাকাবাসীকে নিয়ে জায়গা দিয়েছি। অপরদিকে জাহাঙ্গীর চৌধুরী বহুমুখী সমিতি নাম দিয়ে মির্জাপুর গ্রামবাসীকে নিয়ে ওই বিরোধীয় জায়গা দখলে নিতে কাটা বাঁশ ফেলে দখলে নিতে চাইলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের পর বাংলাবাজারে ব্যাপক লুটপাট ও ভাংচুর হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত¦ করে।
সংঘর্ষে রফিনগর গ্রামের শাহ আলমের পুত্র হারুন মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন অন্তত শতাধিক। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন নিহত হরুন মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন (২৫), মির্জাপুর গ্রামের মাহমুদুল (২২) আলী আবেদীন (৫৫), নূর কালাম (৫০)। এই আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত আছে। তবে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।